নিজস্ব প্রতিনিধিঃবহুকাল আগে থেকে কবি সাহিত্যিকরা বলে আসছেন প্রেমের মরা নাকি জলে ডুবে না। তবে প্রেমের মরা ভেঁসে থাকার প্রমাণ ও কিন্তু আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। শুনেছি প্রেম মানে না কোনো শাসন-বারণ। এবার তেমনি এক প্রেম কাহিনি দেখা গেলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায়। নোয়াখালীর মেয়ে বিলকিস প্রেমের টানে ছুটে গেলেন টাঙ্গাইলের মেয়ে আঁখির কাছে!
নোয়াখালীর নুরুল ইসলামের মেয়ে বিলকিস ভালোবাসার টানে টাঙ্গাইলের মেয়ে আখির কাছে ছুটে এসেছেন।
সোমবার বিকেলে বিলকিস টাঙ্গাইলে আখির বাসায় এসে পৌঁছান। ফেসবুক-টিকটকে পরিচয়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে জানান দু’জনেই। এদিকে এলাকাবাসীর বিষয়টি ভিন্ন চোখে দেখলেও শিক্ষাবিদরা বলছেন, এটা তেমন কোনো সমস্যা না, সব সময় যে বিপরীত লিঙ্গের দিকেই আকর্ষণ থাকবে তাও না এটা একটি সাময়িক আকর্ষণ। যেকোনো মুহুর্তে এই আকর্ষণের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ময়থা গ্রামের আজহার আলীর মেয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া আখির প্রেমে পাগল হয়ে নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইল চলে এসেছেন নুরুল ইসলামের মেয়ে বিলকিস আক্তার।
জানা যায়, ফেসবুক ও টিকটকে পরিচয় হয় তাদের। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন যাবত কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। জড়িয়ে পড়েন ভালোবাসার গভীর সম্পর্কে। তিন মাস আগে দু’জনে একসাথে ঘরও ছেড়েছিলেন একে অপরকে ভালোবেসে। পরবর্তীতে পরিবারের চাপে বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয় তারা। কিন্তু সেই চাপ তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি।
এদিকে এলাকাবাসী বলছেন দুই মেয়ের এই প্রেম কাহিনী কখনও দেখিনি। আজ প্রথম দেখলাম। বিষয়টি আসলেই অবাক করার মতো।
বিলকিস বলেন, ‘আমি পরিবারকে বুঝিয়েছি তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না। তাই বাড়িতে থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন আখির পরিবার না মানলে আমরা দু’জনে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করবো।’ আর যদি সমাজ আমাদেরকে মেরে ফেলে তাহলে একসাথে মরবো দুজন।
আখি বলেন, ‘বিলকিসের সাথে ফেসবুকে পরিচয় তারপর থেকে আমরা দু’জনে সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। এখন বিলকিস এসেছে আমি ওরে আর যেতে দিব না।’
এদিকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের উৎসুক বিভিন্ন বয়সী মানুষজন তাদের এক নজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন বলেও জানা যায়
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।