মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁও জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ শুর হয়। নানার ধরনের ফুলের মধ্যে রজনীগন্ধা, গাঁধা, বিভিন্ন জাতের গোলাপসহ বেশকিছু জাতের ফুল। এখানকার উৎপাদিত ফুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। সদর উপজেলার নারগুন মোহন ইক্ষু খামার ও বেগুনবাড়ি ইউনিয়নে কয়েকজন উদ্যোক্তা ফুলের চাষ শুরু করেছেন। আর ফুল চাষকে ঘিরে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন নার্সারি ঘুরে দেখা যায়, নার্সারী পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে কিছু ফুল চাষ ও চারা উৎপাদন করে জেলার কৃষকেরা লাভবান হয়ে থাকেন। ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে অল্প সময়ে বেশী লাভের আশায় কৃষকরা এখন ফুল চাষের দিকে ঝুকছেন বেশি। তাদের দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্যান্য এলাকার স্থানীয় কৃষকরা। এছাড়া ফুলের উৎপাদন ভাল হওয়ায় আশপাশের অন্যান্য চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছে ফুল চাষে। আর রং বেরংয়ের নানা জাতের চাষবাদকৃত ফুটন্ত ফুল বাগান দেখতে ও ঘ্রাণ নিতে ছুটে আসছেন হাজারও মানুষজন।
পৌর শহরের টিকাপাড়া মহল্লার গৃহিনী শারমিন আক্তার জানান, তার ছেলে-মেয়েদের এখানে ফুলের বাগান দেখতে নিয়ে এসেছেন। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল দেখে যেন তাদের চোঁখ জুরিয়ে গিয়েছে। ফুলের গন্ধে মনে দোলা লাগিয়ে এখানে পরিবারের সকলে মিলে অনেক ছবি তুলেছেন বলে জানান তিনি।
ফুল চাষী নাসিমুল আলম বলেন, গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন জাতের উন্নত মানের ফুল চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের যতেœ চাষাবাদকৃত চোখ জুড়ানো ফুটন্ত এসব ফুল দ্রুতই বেড়ে উঠছে। সরবরাহ করা হচ্ছে বাজারে। সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের কদর থাকায় একটা সময় অন্যান্য জেলা থেকে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরন করা হলেও এখন নিজ জেলায় উৎপাদন হচ্ছে নানা জাতের ফুল।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, ফুল চাষীদের কৃষি বিভাগ থেকে যাবতীয় সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। কৃষকদের ফুল চাষে উদ্ধুদ্ধ করা ও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এ জেলায় ফুল চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে কৃষি অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।