দর্শনা প্রতিনিধিঃ
দর্শনা আকন্দবাড়িয়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোল ঘেঁষে মাদ্রাসা গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে গ্রামের একটি চক্র।
গ্রামে একটি মাদ্রাসা থাকা সত্বেও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে থাকা সরকারি জায়গা দখল করে রাতারাতি কমিটি গঠনকরে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে সরকারী জমি দখলের পায়তারা চালানো হচ্ছে। সেই স্থানে আকন্দবাড়িয়া দারুল কোরআন মাদরাসা নামে একটি সাইন বোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে।
এ নিয়ে গ্রাম জুড়ে আলোচনা- সমালোচনার ঝড় বইছে। যদিও জেলা শিক্ষা অফিসার বলেছেন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলে তার অন্তত দু কিলোমিটারের মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা যবেনা, যা সরকারি নির্দেশনা।
এসব প্রশ্নের জবাব খুজতে গতকাল মঙ্গলবার দর্শনা প্রেসক্লাবের একদল সাংবাদিক সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং খোঁজখবর নেন।
গ্রামবাসী বলেন, গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আখচাষী সমবায় সমিতির নামে একটি জায়গা ছিল। ওই জায়গায় আখ চাষীদের সময় কাটানোর জন্য ইট দিয়ে তৈরী এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর নির্মান করা হয়েছিল।
ততকালিন আখচাষী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি আশাদুল হক জানান, এর কোন কার্যক্রম না থাকায় প্রায় ১০বছর আগে এসমিতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, এখন এ প্রতিষ্ঠান সহ জমির মালিক সরকার, আমাদের কোন কর্তৃত্ব নেই।
স্হানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে ও মহাসড়কের পাশে খুব ভাল পরিবেশে একটি মাদ্রাসা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীর অভাবে প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। সেদিকে কারো খেয়াল নেই? সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নতুন করে
মাদ্রাসা বানানোর চেস্টা সঠিক হবেনা, উদ্যেশ্য প্রনোদিত হতে পারে। জায়গাটি কমলমতি ছেলেমেয়েদের খেলার নির্ধারিত মাঠ ও স্থান হলে ভাল হয় বলে তিনি বলেন। গ্রামের প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা জানালেন রাতারাতি কার নির্দেশে সমবায সমিতির ঘর ভেঙ্গে সাইনবোড লাগানো হলো বিষয়টি রহস্যজনক মনে হয়েছে, তা ছাড়া ঘরের জানালা দরজার হদিস নেই, অল্প কিছু ইট রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে জানান ওই পাড়ায় কিছুদিন আগে শ্রী ঝন্টু হালদারের ছেলে শ্রী সোনাতন হালদার ও তার স্ত্রীকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তার স্ত্রী ধর্মান্তরিত না হয়ে রাতারাতি চাকুরী ছেড়ে প্রাণ ভয়ে দুধের বাচ্ছাটি নিয়ে পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে শ্রী সোনাতন হালদার ওই পাড়ার এক মুসলমানের মেয়ে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছে।
তিনি আরও জানান ওই চক্রটি এ কাজ করলো কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।এ ছাড়া রাতারাতি ভুই ফোঁড় যে কমিটির নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন ফেনসিডিলের আন্চলিক এজেন্ট নামে ক্ষ্যাত যে গত বছর পুলিশের ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছিল সেই পাপ্পু খোড়াদর বাবা বজলুর রহমান সভাপতি ও জামাতের স্হানীয় নেতা হাবিল মোল্লাকে সম্পাদক করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলাকে নির্দেশ দিয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু'কিলোমিটারের মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার নিয়ম নেই। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশে,পাশে অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান করতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। এধরনের কোন অনুমতি আমার জানামতে দেওয়া হযনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2025 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.