ডেস্ক রিপোর্ট :
দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার শীর্ষ আলেম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রাহ. এর সাহেবজাদা প্রখ্যাত আলেমেদীন গোপালগঞ্জের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলামের (গওহরডাঙ্গা মাদরাসা) প্রিন্সিপাল মুফতী রুহুল আমীন দা. বা. জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের খতীব নিযুক্তিতে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহ.'র সাহেবজাদা শাইখুল হাদীস আল্লামা আনাস মাদানী অভিনন্দন জানান।
আজ বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা আনাস মাদানী বলেন, সর্ব প্রথম মহান আল্লাহর আলীশান দরবারে শুকর গুজার হচ্ছি বহু প্রতীক্ষার পর হক্কানি ওলামায়ে কেরামগণের রোনাজারির বদৌলতে দেশের জাতীয় মসজিদ একজন দক্ষ মুখলিস খতীব পেয়েছে। আমার আব্বাজান শাইখুল ইসলাম রাহ.'র আমৃত্যু স্বপ্ন ছিল জাতীয় মসজিদে একজন মুখলিস আল্লাহ ওয়ালা খতীব নিযুক্ত হওয়া। আজ আমি অত্যান্ত আনন্দিত। আমার আব্বাজান রহ.'র স্বপ্ন পুরণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন মসজিদ প্রতিষ্ঠার এ পর্যন্ত যে সকল পীর মাশায়িখ উলামায়ে কেরাম খতীবের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি দেশের সরকার প্রধানসহ ধর্মমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শিরক, বিদআ'তের বদলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আবার ফিরে আগের পরিবেশ ফিরিয়ে আসবে বলে মনে করেন। জাতীয় মসজিদের মিম্বর থেকে ধ্বনিত হবে হকের আওয়াজ। এই প্রত্যাশা শুধু আমার নয়, দেশের হকপন্থী সকল মানুষের। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
উল্লেখ্য গত ৩ ফ্রেব্রুয়ারি বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতিব অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন মারা যাওয়ার পর পদটি এতদিন খালি ছিল।
উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানীর একান্ত শিষ্য এবং ফরিদাবাদ, বড় কাটারা, লালবাগ মাদরাসাসহ দেশের অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা তার প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
কওমি মাদরাসা ঘরানায় তার বাবার অবদান অপরিসীম। বর্তমানে দেশের অনেক প্রখ্যাত আলেম তার বাবার সরাসরি ছাত্র। শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মুফতী আমিনীর মতো আরো অসংখ্য ছাত্র তার বাবা নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।