এ এইচ রিপন ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি :
ভোলা লালমোহন উপজেলা পেটের সাথে জোড়া লাগানো দুই শিশুকে দেখতে বিভিন্ন ফল ও সন্তানসহ বাবা-মায়ের জন্য পোষাক কিনে ক্লিনিকে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরা।
এসময় তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে প্রয়োজনীয় খরচ বহন করেন। বুধবার দুপুরে দুই শিশুকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করা হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ শাহ।
পেটে জোড়া লাগানো যমজ ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন মিতু বেগম নামে এক প্রসূতি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লালমোহন ক্লিনিক ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপাচার (সিজারিয়ান) মাধ্যমে এ দুটি শিশুর জন্ম হয়।
এদিকে শরীরে জোড়া লাগানো জমজ শিশুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিশু দুটিকে এক নজর দেখার জন্য ক্লিনিকে হাজারো মানুষ ছুটে আসে।
মিতু বেগম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মুন্সির হাওলা গ্রামের রাজমিস্ত্রী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী।
বিল্লাল হোসেনের বড় ভাই জামাল হোসেন বলেন, প্রসব বেদনা দেখা দিলে গতকাল (সোমবার) রাতে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে লালমোহন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভর্তি করেন।
পরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিজারিয়ানে দুটি জমজ সন্তানের জন্ম হয়। তাদের দুজনকে অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করতে যে খরচ, তা বিল্লালের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই সরকারি বেসরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন জামাল।
লালমোহন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিকে অস্ত্রোপচার করেন, সার্জন ডাঃ মুমতাহিনা হক জিম ও এনেস্থিসিয়ালজিস্ট ডাঃ মোঃ আবু সাফওয়ান। তারা বলেন, শিশু দুটি ও তাদের মা সুস্থ রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে দুজনকে আলাদা করা সম্ভব।