মুসা মিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
আমের রাজধানী খ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকেই এবারতাপদাহ শুরু হয়েছে । কখনো মৃদু কখনো বা মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আশেপাশের জেলার ওপর দিয়ে।
অব্যাহত তাপপ্রবাহে বিপন্ন হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলায় এবার তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল কিছু কিছু এলাকায় নামমাত্র বৃষ্টি হয়েছে।
ফলে বৃষ্টিহীন চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাত্রাতিরিক্ত তাপের কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ফলনেও বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। বাগান মালিকরা বলছেন মাত্রাতিরিক্ত তাপের কারণে কয়েকদিন থেকে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ লক্ষ করছেন। তাই গাছে পানি দিচ্ছেন ও কীটনাশক স্প্রে করছেন। এতে তাদের বাড়তি খরচ হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে তারা চলতি মৌসুমে লোকসানের মুখে পড়বেন বলে জানায় বাগান মালিকরা। অনেকেই বলছেন এবার আমের ফলন কম হবে। আম সাইজে ছোট হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীতি এলাকার বাসিন্দা আম ব্যবসায়ী হালিম রাজ বলেন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি পানি দিয়ে গুটি ঝরে পড়া রোধ করার। এবছর গাছে মুকুল কম এসেছে। তার পরেও যে মুকুল এসেছে। সেগুলো ঝরে যাচ্ছে। এবার আমের ফলন কম হবে তাই উৎপাদনে খরচ বেশি হবে বলে জানান চাষিরা ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবছর ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। প্রায় তিন লক্ষ মেট্রিকটন উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, আমের গুটি ঝরে পড়া রোধ করতে আম গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া পোকামাকড় প্রতিরোধে ঔষুধ স্প্রে করা। শুকনো ডাল ভেঙ্গে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে আম চাষীদের।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।