তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারনে, প্রশাসন জনপ্রতিনিধি কৃষক সবাই মিলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ও শেষ পর্যন্ত
গুরমার বর্ধিতাংশের বাঁধটি রক্ষা করতে পারেনি ।তলিয়ে গেল তাহিরপুরের হাজারো কৃষকের সারা বছরের স্বপ্ন। বাঁধ ভাঙার একদিনের মাথায় ছোট বড় হাওর যেমন নোয়াল, গলগলিয়া, পানা, বলাইচাতল, উলান, জিনারিয়া, মানিকখিলা, গায়েরকিত্তা পানিতে টুই টুম্বুর হযে পরে।এদিকে লামাগাও বাজার হতে দুমাল দুই গ্রামের মধ্যে বাবুর জাঙ্গাল বাধ তৈরি করে ধর্মপাশা—মধ্যনগরের হাওরে যেন পানি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্তানীয় চেয়ারম্যান প্রশাসন কৃষকরা।
চুখের সামনে সোনার ফসল তলিয়ে যেতে দেখে হাওরপাড়ের পাঠাবুকা, ভবানীপুর, সন্তোষপুর, মানিকটিলা, রামসিংহপুর, লামাগাঁও, উক্তিয়ারগাঁও, নোয়াগাঁও, বলাইকান্দি, গোলাভারি, জাঞ্জাইল, মোয়াজ্জেমপুরসহ অসংখ্য গ্রামের কৃষকের আত্বচিৎকারে ভারি হয়ে উঠে আকাশ বাতাস।
সন্তুুষপুর গ্রামের মিনা রানী দাস আক্ষেপ করে বলেন হাওরের বান ভাঙার খবর পাওয়ার সাথে সাথে দেখি পুরা হাওর সাদা হইয়া গেছে, এইবার মহাজনের কাছ থাইকা সুদে টাকা আইন্না ৬ কিয়ার জমি করছিলাম অসময়ে হাওর ভুইরা যাইব যানতামনা, এখন পুলা পুরি নিয়া সারা বছর কি খামু, আর মহাজনের টাকা কিভাবে দিমু সেই চিন্তায় গুম আসেনা, গরীবের কপালে যত কষ্ট।
শ্রীপুর দঃ ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান জনাব আলী আহমেদ মুরাদ বলেন দীর্ঘদিন প্রশাসন সহ কৃষকদের সাথে নিয়ে আমরা আপ্রান চেষ্টা করেছি হাওরের বাধটুকু রক্ষা করার জন্য, শেষপর্যন্ত প্রকৃতির সাথে আমরা পরাজিত হয়েছি, চুখের সামনে সোনার ফসল তলিয়ে গেছে, আমরা গত রবিবার বর্ধীত গোরমার বাধ ভাঙার পর থেকে লামাগাও বাবুর খালে বাধ দিয়ে পাশবর্তী উপজেলা এবং আমাদের শিব বাড়ি, আতনা, বাড়ছাতল, মুর্তী,গুরমা সহ ছোট ছোট কয়েকটি হাওরের ধান রক্ষার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে মনে হয় পারবনা তারপরেও চেষ্টা, আল্লাহ আমাদের সহায় হউন। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রায়হান কবির বলেন লামাগাও বাবুর খালে বাঁধ দিযে আমরা চেষ্টা করছি ফসলটুকু রক্ষা করার জন্য, পানি বৃদ্ধি না হলে আর সমস্যা হবেনা।আমাদের শনি মাটিয়ান মহালিয়া হাওরের বাঁধ এখনো ভালো আছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।