তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে একের পর এক হাওর ডুবতে থাকলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ে, হাওরের বাঁধ রক্ষায় শুরু থেকে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জনাব আলী আহমেদ মুরাদ দিন রাত প্রান পন চেষ্টা করে যাচ্ছেন,এই বাঁধ হতে ঐ বাঁধে সারাক্ষণ বিচরন করে চলছেন,কখনো প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে সফল হয়েছেন, আবার কোথাও কোথাও প্রকৃতির সাথে ব্যার্থ হয়েছেন,২৭ নম্বর পি আইসি বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যখন প্রবল বেগে পানি হাওরে ঢুকতে থাকে তখন কোন উপায় না ভেবে বাবুর জাঙ্গালে মাটি ফেলে উচু করে গুরমা হাওরের ভিতরে শিববাড়ি, গুরমা, বাইনচাপড়া, আতনা ও মধ্যনগর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এরফলে কয়েক হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান জনাব আলী আহমদ মুরাদ। এই জাঙ্গালটি উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শেষ সিমানা লামাগাও বাজার এবং দুমালের মধ্যে খানে অবস্থান, তার পাশেই মধ্যনগর উপজেলা।
গত ১৭দিন ধরে রোধ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁধেই পড়ে আছেন চেযারম্যান মুরাদ । প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী জাঙ্গালটি মেরামত করতে একটি এসকেভেটর ও একটি জাম্প ট্রাক দিয়ে শ্রমিকরা মাটির কাজ করার পর লামাগাঁও বাজারের পূর্বপাশের বাবুর বাঁধটির শত ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে শনিবার পর্যন্ত বাঁধের কাজ করে পানি আটকানো আছে বলে জানিয়েছেন বাঁধের পাশের বাসিন্দা ও হাওরপাড়ের কৃষকরা।
মাহমুদপুর গ্রামের কৃষক আশরাফ উদ্দিন বলেন, এই বাঁধটি মেরামত করার কারনে গুরমাসহ পাশবর্তী উপজেলার কয়েকটি হাওরের আপাদত আর কোন সমস্যা হবে না। হাওর পারের কৃষকরা তাদের ধান কাটতে ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন। বাবুর জাঙ্গালের বাধটির কাজ সম্পন্য করতে চেয়ারম্যান সাহেবের উপস্তিতিতে কৃষকরা প্রতিদিনই কাজ করছে। চেয়ারম্যান সাহেব দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বাধটি নিরাপদ রাখার জন্য, তিনি ঝড় বৃষ্টি কে উপেক্ষা করে দিন রাত বাঁধে পড়ে আছেন।
দির্ঘদিন পর আমরা হাওর বাসি একজন কৃষক বান্ধব চেয়ারম্যান পেযেছি সেজন্য আমরা এলাকাবাসী গর্বিত। বাধটি অক্ষত রাখার জন্য আমরা সতর্কবস্থানে আছি।
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান জনাব আলী আহমদ মুরাদ বলেন, দির্ঘ ১৭ দিন যাবৎ বাবুর জাঙ্গালটি রক্ষার্থে আমি সহ কৃষক ভাইদের সাথে নিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি, যখনি বৃষ্টি আসে তখনি এক অজানা চিন্তা এসে যায় মনে, কৃষকদের সাহস যোগাই কিছু হবেনা, যখন রৌদ্র উঠে মনে আনন্দ জাগে, এভাবেই দিন শেষে রাত্রি পার করছি,এখন পর্যন্ত বাধটি আমরা অক্ষত রাখতে পেরেছি,আমার কৃষক ভাযেরা ধান কাটার পাশাপাশি বাধেও কাজ করছে,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী আমাদের বাধের আর কিছু হবেনা, আমাদের কৃষকরা ধান কাটতে ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন।এবাধটির উপর চেয়ে আছে আমার পাশবর্তী উপজেলার শত শত জনগন, সর্বোপরি মহান আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করবেন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবীর বলেন,গুরমার বর্দীতাংশের বাঁধ ভেঙ্গে নোয়াহাল ও খাউজ্যাউরি হাওরের দিকে পানি প্রবেশ করার পর বাবুর জাঙ্গালটিতে পানির চাপ পরে। বাইনচাপড়া, গুরমা,, আতনা, শিববাড়ি ও মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়েনর কয়েকটি হাওর ও ঘাসি নদীর পাড়ের জমিগুলোর ফসল রক্ষার জন্য সাথে সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও কৃষকদের সাথে নিয়ে বাঁধটির কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করি। এখনও বাঁধটি অক্ষত অবস্থায় আছে। আশা করছি আর কোন সমস্যা হবেনা।কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.