মুসা মিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। চাষিরা আম পাড়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বাগান গুলোতে আম পাড়া ও বাজারজাত করার জন্য ঘর তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। আম বাজার গুলোয় আড়ত তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাজারে আসবে পাকা আম। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় আমের মুকুল কম হয়েছে এবার। মাত্রা অতিরিক্ত তাপমাত্রা, শিলাবৃষ্টি তে নষ্ট হয়েছে আমের গুটি। আশাঅনুরুপ আম উৎপাদন না হওয়ায় আম পাড়ার সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করবে না প্রশাসন। তবে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে বলে জনান সংশ্লিষ্টরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে , চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে গোপালভোগ জাতের আম বাজারে আসবে । মে মাসের মধ্যেই পাকতে শুরু করে গোপালভোগ আম । একই সময়ে গুটি জাতের আম আসবে বাজারে। জুনের প্রথম সপ্তাহে লক্ষণভোগ ও ক্ষিরসাপাত আম পাকা শুরু হবে। জুনের মাঝামাঝি থেকে ল্যাংড়া, খুদি ক্ষিরসা, বোম্বাই ও মাসের শেষের দিকে ফজলি আমসহ কয়েকটি নাবি জাতের আম বাজারে আসবে।
চলতি মৌসুমে আম উৎপাদন কম হওয়ায় দাম ভালো পাওয়ার আশা করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে ভালো দাম পাবেন বলে মনে তারা। জেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায় আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সদর উপজেলার জামতলা এলাকার আমিরা এগ্রো ফার্মের পরিচালক ইউসুফ আলি বলেন এবছর আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করেনি প্রশাসন এটা ভালো খবর। আম পাকতে শুরু হলে তখন আমরা আম পাড়তে শুরু করব। গত বছর ঢাকা যাত্রাবাড়ি আড়ত হতে এক ক্যারেট আমের মূল্য মাত্র ৩০০ টাকা করে এসেছিল। লেবার খরচ উঠানো মুশকিল ছিল। এবছর ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি। জেলার একাধিক আম চাষি ও ব্যবসীরা জানান আবহাওয়ার কারণে এবার বাজারে আম আসতে দেরি হতে পারে। তবে ফলন নিয়ে আশংকায় আছে তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। জেলাতে প্রায় ৫০-৫৫ লাখ আম গাছ রয়েছে। চলতি মৌসুমে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়েছিল জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানাগেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন সারা দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম রয়েছে। এ বছর উৎপাদন কম হওয়ায় গাছ থেকে আম পাড়ার নিদিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে অপরিপক্ব আম বাজার জাতের বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা হবে। এনিয়ে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2025 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.