এস.এম.বিপু রায়হান, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে তৈল জাতীয় ফসল তিলের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে প্রস্ফুটিত হয়েছে স্বপ্নজয়ের হাসি। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে ফলন অনেকটা ভালো হয়েছে বলে চাষীদের মনে আনন্দের জোয়ার বইছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কাজিপুরে তিল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪০০ হেক্টর জমি কিন্তু তিলের চাষ হয়েছে ৪৯০ হেক্টর জমিতে।
অভিজ্ঞ তিলচাষী পানাগাড়ী গ্রামের ফজলুল করিম জানান, গত বছরের চেয়ে এবছরে তিলের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল তিলের জাত উদ্ভাবন হওয়ায় এবং কৃষি বিভাগের তদারকিতে আমরা তিল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছি।
হাটগাছা গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ আলী বলেন, তিল থেকে যে শুধু তেল পাওয়া যায় তা কিন্তু না। বিভিন্ন পিঠা-পুলি তৈরী করতেও তিলের ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও তিলের খৈল গবাদি পশুর গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই এই ফসলের চাষ থেকে বিভিন্ন দিক থেকে লাভবান হতে হলে তিল চাষের প্রতি আমাদের যত্নবান হতে হবে। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিমণ তিল বিক্রয় করা হচ্ছে পনেরোশো টাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম বলেন, কৃষক জমিতে তিল চাষ করে একাধারে অনেক রকম উপকার পেয়ে থাকে। তন্মধ্যে তিল গাছের যেসব পাতা জমিতে পড়ে তা পচে মাটির সাথে মিশে সবুজ সারের কাজ করে এতে করে জমির প্রচুর উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি পায়। তিল গাছের ডাঁটা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তিল থেকে ভোজ্য তেল ও খৈল পাওয়া যায়। এ ফসলে তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বলে খুব কম খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে আবাদ করা যায়। দোআঁশ মাটি ও একটু উঁচু জমিতে তিল ভালো জন্মে। তিলচাষে যত্নবান হতে পারলে, প্রতি হেক্টর জমি থেকে দেড় মেট্রিক টন তিলের ফলন পাওয়া সম্ভব।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.