মোঃ কামাল হোসেন খাঁন , মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মেহেরপুর কর্তৃক বিকাশ প্রতারণার ১ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫ টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় টাকা ও মোবাইল ফোন হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম উপস্থিত থেকে টাকার প্রকৃত মালিক এবং মোবাইল ফোনের মালিকের নিকট টাকা এবং মোবাইল তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গাংনী উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের একরামুলের স্ত্রী রোজিনা খাতুনের বিকাশ থেকে ভুলক্রমে ২০ হাজার টাকা অন্য যায়গায় চলে যায়।এ ঘটনায় রোজিনা খাতুন গাংনী থানার জিডি করেন। যার নং নং- ১০৭৭। ১৩ মে মেহেরপুর চক্কপাড়ার বাহার উদ্দিনের ছেলে রায়হান উদ্দিনের ৫৬ হাজার টাকা ভুলক্রমে অন্যের কাছে চলে যাওয়ায় সদর থানার জিডি করেন।
যার নং- ৫৬৪, এবং ১১ মে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজানগর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে জাকির হুসাইনের ২৪ হাজার টাকা অনত্র চলে যায়।তিনি মেহেরপুর সদর থানায় জিডি করেন। যার নং- ৪৬০। জিডি মূলে ২ জন ব্যবসায়ীসহ ১ জন মহিলা ভিকটিমের নিকট থেকে প্রতারক চক্র মোট ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে উক্ত জিডির কপি নিয়ে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, মেহেরপুর’এর শরণাপন্ন হন।
পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম এর নির্দেশে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামিরুল ইসলাম (প্রশাসন ও অর্থ) এর দিক নির্দেশনায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, মেহেরপুরের চৌকস টিম ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ভিকটিমদের নিকট থেকে প্রতারক চক্রের হাতিয়ে নেওয়া মোট ১ লক্ষ টাকা এবং হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত টাকা এবং মোবাইল ফোন সমূহ প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেন। ভুক্তভোগীরা বাংলাদেশ পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, মেহেরপুর এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.