ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনের ছাউনি নির্মাণ কাজ আবার শুরু ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের যাত্রী ছাউনির নির্মাণ কাজ। এর ফলে সাম্প্রতিক বৈরি আবহাওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। সাম্প্রতিক নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে যাত্রী ছাউনির নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল বলে যাত্রীরা মনে করলেও এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা রেলওয়ে কর্তৃপ বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কোনটিই করেননি। তবে সুখের কথা হচ্ছে বন্ধ থাকা কাজটি পুণরায় শুরু হয়েছে। খুলনা অঞ্চলের ৭ জন শ্রমিক যাত্রী ছাউনির কাজ করছেন। ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের যাত্রী ছাউনি ছাড়াও পঞ্চগড়, দিনাজপুর, পার্বতিপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর রেল স্টেশনের যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ করছেন বলে জানান তারা।
ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় পুরাতন প্লাটফর্মের উত্তরে এবং দেিণ বর্ধিত যাত্রী ছাউনির কাজ একই সাথে পশ্চিম পাশের ২নং প্লাটফরমের ছাউনির কাজ যা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ অবস্থায় ছিল তা আবার শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টির সময় ট্রেনে উঠতে যাওয়া বা ট্রেন থেকে নামা যাত্রীরা যাত্রী ছাউনি না থাকার কারণে তাদের মালামাল সহ ভিজে জুবুথুবু হয়ে পড়েন। কদিন আগে টানা বৃষ্টির সময় রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় পুরাতন সেডের নিচে গাদাগাদি হয়ে যাত্রীরা ট্রেনের জন্য অপো করছেন। এসময় ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে এলে যাত্রীরা ভিজতে ভিজতে তাদের মালামাল সহ ট্রেনের নির্দিষ্ট কোচে ওঠেন। এসময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে যান।
ট্রেন থেকে নেমে কাকভেজা হওয়া যাত্রী রুবেল বলেন, ছাউনি না থাকায় এভাবে ভিজতে হল। ভেজা কাপড়েই বাড়ি পর্যন্ত যেতে হবে। একজন মহিলা যাত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, কথা বলবো কীভাবে , আমার তো দাঁড়িয়ে থাকার মত অবস্থাও নেই। এসময় বেশকিছু শিশুকেও ভেজা কাপড়ে দেখা যায়। ঢাকাগামী একতা/ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস/দ্রæতযান এক্সপ্রেসের ক,খ,গ,ঘ এবং ঞ,ট,ঠ কোচগুলো বর্তমান ছাউনির বাইরে থেকে যায়। ওই কোচগুলোর ওপরেই নতুন করে ছাউনি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এস ইঞ্জিনিয়ারিং। হঠাৎ করে বাজারে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল-এমন সংবাদের সত্যতা জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করেন। মালামালের দাম পুণঃ নির্ধারণ করে বৃদ্ধি করার জন্য তদবির করছেন কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তি হলেও সিডিউল মোতাবেক কাজ শেষ করতে হবে, আর দর বৃদ্ধির কোন তদবির আমরা করছিনা। অপরদিকে কেন এতদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল এমন প্রশ্ন করলে স্টেশন মাস্টার আকতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কত টাকার কাজ কিংবা সিডিউল মোতাবেক কত দিন সময় আছে কাজটি শেষ করার জন্য এমন নানা প্রশ্নের জবাবে স্টেশন মাস্টার বলেন বিষয়গুলো উর্ধতন কর্তৃপ জানেন। সেল ফোনে কথা হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার নুর মোহাম্মদের সাথে। তিনি বলেন এ কাজটি ব্রিজ সেকশনের। তারাই সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরবৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দর বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। যে দর দেয়া আছে তাতেই কাজ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ না করতে পারলে কার্যাদেশ বাতিল করে জামানত বাজেয়াফত করা হবে। সেল ফোনে রেল বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে কাজ বন্ধ হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার দুইদিন পরেই যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনের নির্মানাধীন ২নং প্লাটফরমের এবং ১নং প্লাটফরমের বর্ধিত অংশের ছাউনির কাজ বর্ষা মৌসুম আসার আগেই শেষ করার জন্য রেল বিভাগের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.