ঈদগাঁও বাজারের জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের সময়ের দাবি
মোঃ ওসমান গনি ইলি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
কক্সবাজার জেলার সর্ব বৃহত্তর ঈদগাঁও বাজারে পানিপ্রবাহের জন্য কোনো ড্রেনেজব্যবস্থা (নর্দমা) না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের। একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলে, মাছ বাজার,স্কুল গেইট, সরকারি হাসপাতালে সড়ক,তেলি পাড়া রাস্তাসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। একবার জলাবদ্ধতা দেখা দিলে পানি সরাতে কয়েক দিন সময় লাগে। এ অবস্থায় বর্ষা মৌসুম এলেই স্থানীয় লোকজনের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বাজারের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ছৈয়দ করিম জানান, কয়েক বছর আগেও সড়কের দুইপাশে পানি যাওয়ার ড্রেইন ছিল। মালবাহী গাড়ির ডুকার কারণে ড্রেইন নষ্ট হয়েছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, কিছু কিছু দোকানদারের অবহেলা ও বিল্ডিং তৈরি করার ফলে পানিপ্রবাহের ড্রেইন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টি হলেই সড়কের উভয় পাশে পানি ওঠে কাদা হয়ে যায় । আজিজ নামে এক প্রথচারী বলেন, ড্রেইন বরাট করে ফুটপাতের দোকান বসিয়ে পথচারীদের হাটার বন্ধ করার ফলে ও পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ভোগ বলে মনে করেন।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম বলেন ড্রেইনটি করার জন্য দুয়েকবার বাজেট হয়েছিল। কেনো কি কারণে ড্রেইন করা হয়নি তা জানা যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে নয় লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো বলে জান তিনি। এর পরে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে ইউএনও সাথে আলাপ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
স্থানীয়সচেতন মহলের দাবী তুলে বলেন পানি নিষ্কাশনের কারণে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । এটি নিরসনে সড়কের এক কিলোমিটার অংশে একটি ড্রেনেজব্যবস্থা চালু করলে সমস্যার পুরোটাই সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান বাজার ব্যবসায়ী ও পথচারী। বাজারবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান, মেম্বার থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে বারবার একই দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে।
বাজার ব্যবসায়ী পক্ষে এই জনদুর্ভোগ লাঘবের স্বার্থেই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.