জাকির হোসেন,বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল ধংস করছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। ভয়াল সন্ধ্যা নদী বানারীপাড়া উপজেলা কে দুই ভাগ করেছে । অসংখ্য খাল বিল ডোবায় ঘেরা বানারীপাড়া উপজেলা। যেখানে দেখা মেলে দেশীয় প্রজাতির মাছ। যার মধ্যে অন্যতম শিং, কৈ, মাগুর, পাবদা, গুলসা, টেংরাসহ নানান সুস্বাদু মাছ। এক সময় এ সব মাছে ভরপুর থাকায় গ্রামের মানুষের চাহিদার পাশাপাশি শহরের মানুষের ও চাহিদা পূরন হতো। কিন্তু জেলেদের বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল ও অবৈধ পদ্ধতি মাছ ধরার কৌশলে এ সব মাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়। তারমধ্যে অন্যতম কারন গুলো হচ্ছে খালে বিষ প্রয়োগ, প্রজনন মৌসুমে ডিম ওয়ালা মা মাছ নিধন, ঝাক সহ পোনা নিধন। দেশীয় মাছের নতুন আতঙ্ক চায়না দুয়ারী জাল। কিছু অসাধু জেলেরা এ অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ নিধন করায় সব ধরনের মাছের পোনা ধরা পড়ে নষ্ট হচ্ছে মাছের ডিম, রেনু। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা বিভিন্ন ভাবে সচেতন করছি এবং অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ জাল উচ্ছেদ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ছোট ছোট খালে জমিতে ও লোকলক্ষুর অন্তরালে এ সব জাল পাতায় সে সব যায়গায় অভিযান পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ সহায়ক কর্মী এনামুল কবির জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় আমরা গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে জেলেদের সচেতন করছি। অবৈধ জাল ব্যাবহারে নিরুৎসাহিত করছি। চায়না দুয়ারী জালে পাশাপাশি ক্ষতিকর মশারী, বেড় জাল, চড়গড়া, ভেসাল জাল ও দেশীয় মাছের হুমকি। তাই সকলের সচেতনতায় এ সব জাল নির্মূলে মৎস্য দপ্তরকে সকলে সহোযোগিতা করলে এ সব অবৈধ জাল নির্মূল হবে। দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধি বাড়বে। মাছে ভরে যাবে খাল বিল সহ জলাশয় গুলো। পাশাপাশি মাছের চাহিদা ও পূরন হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।