মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। তাই ঋতুর পালাবদলে চলছে মধুমাস। মধুমাসে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলছে আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা সহ হরেক রকম দেশি-বিদেশি ফলের। আর এই অসংখ্য ফলে ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে কালো জাম। পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের তার ‘মামার বাড়ি’ কবিতায় লিখেছেন ″পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ″। আমরা ছোট বেলায় এই কবিতার লাইনটার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। কিন্তু মধুমাস চললেও এখন আর খোকা-খুকিদের মুখে রঙ্গীন রসের চিহ্ন দেখা যায় না। তাই কবির কাব্যের সাথে বিলুপ্তের পথে আজ এই ফলটি। সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, কয়েক বছর আগে বিভিন্ন রাস্তায়,পুকুর ঘাটে, বাড়ির আঙ্গিনায় সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাম গাছ চোখে পড়লেও এখন তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। সালন্দর ইউনিয়নের সাদেকুল ইসলাম ও শায়ের আলী জানায়, আধুনিক চাষাবাদের পরিক্রমায় জাম গাছ রোপণ না করায়, দিনে দিনে কমছে যাচ্ছে এই গাছের সংখ্যা। ফলে বাজারে মিলছেনা কালো জাম । ভাগ্যক্রমে মিললেও কিনতে হচ্ছে ১৫০-২০০শত টাকা কেজি দরে। এছাড়াও বালিয়াডাঙ্গী মানিক আলী বলেন,কালো জাম গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সুপরিচিত একটি ফল। শিশু ও বৃদ্ধরা খেতে পারে সুস্বাদু এই ফলটি। নতুন প্রজন্মের জন্য প্রাচীন এ ফলটি টিকিয়ে রক্ষা করা খুব জরুরি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষিবিদ সুবোধ চন্দ্র রায়, জানায়,কালো জাম নিসন্দেহে একটি পুষ্টিকর ফল। অন্যান্য ফলের নেয় এ ফলটি বাণিজ্যিক ভাবে আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলায় চাষাবাদ হচ্ছে না। তবে আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আমা,জাম,কাঠাল সহ বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষ রোপনের পরামর্শ প্রদান করে আসছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.