মোঃ কবির হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃস্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের বেশির ভাগই ঘটেছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। পিতার রেখে যাওয়া সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া।
২২ শে জুন ( বুধবার) দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন ভোলা -২ আসনের তরুণ সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল এমপি ।
। তিনি আরও বলেন,বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শাসনামলে স্বাস্থ্য খাতে ঈর্ষণীয় কাজ করেছেন। বাড়িয়েছেন স্বাস্থ্যসেবার পরিধি। বলা হয়, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা বিস্তারের অধিকাংশ অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তিনি স্থাপন করেন। এখন আরও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তিনিই স্থাপনের কৃতিত্ব অর্জন করেন।
বিশেষায়িত হাসপাতাল, উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট কিংবা প্রান্তিক হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার পরিধি সবকিছুই তিনি বাড়িয়েছেন ২০০৯-এ গণমুখী স্বাস্থ্যনীতির ধারায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে স্বাস্থ্যকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার যে প্রচেষ্টা শুরু, তা গত এক দশকে শতধারায় বিকশিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়; বিশ্বে তা এক মডেল, অনুশ্রেয় মানদণ্ড।
সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অতিমারি করোনা মোকাবিলায় তিনি রেখেছেন অসামান্য ও অনন্য অবদান। ইউরোপ, আমেরিকা এমনকি প্রতিবেশী ভারত যেখানে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের তত্ত্বাবধানে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হওয়ায় দেশ এখন কোভিডের ভয়াবহতা থেকে মুক্ত।
এসব সম্ভব হয়েছে দূরদর্শী চিন্তা, কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ, দক্ষ নেতৃত্বে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত ৫ শতাংশের নিচে এখন করোনা শনাক্তের হার। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এসব স্বীকৃতির কথা মাঠপর্যায়ে ১২ হাজারের বেশি নারীকে স্কিলড বার্থড এটেনডেন্ট হিসেবে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে; মিডওয়াইফ সেবা জোরদার করতে তিন হাজারের বেশি মিড ওয়াইফ পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
২০০৭ সালে দেশে নারীপ্রতি গড় সন্তান গ্রহণের হার ২.৭ ছিলো, যা বর্তমানে ২.২-এ নেমে এসেছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারী দম্পতি ২০০৭ সালের ৫৬ শতাংশ থেকে বেড়ে বর্তমানে ৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শিশুমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় চার বছর আগে ২০১০ সালে সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ এর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে।
এর স্বীকৃতি হিসেবে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এমডিজি অ্যাওয়ার্ডে পুরস্কৃত করেছে, যা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয়। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প বর্তমান সরকারের আমলে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ তপতী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান, পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ মশিউর রহমান সাদী অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শাহিন ফকির প্রমুখ।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.