সাইফুর রহমান শামীম,,কুড়িগ্রাম : ২৩.০৬.২০২২
দীর্ঘ ৬ বছর পর কুড়িগ্রামে জঙ্গি হামলায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। রায়ে ৬ জেএমবির সদস্যর মত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ রায় দন।
রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষে লিগ্যাল এইডে নিয়োজিত এডভোকেট হুমায়ূন কবীর।
মামলার ৭ আসামীর মধ্যে ৫ আসামি রাজীব গান্ধী, রিয়াজুল ইসলাম ওরফ মেহেদি, ফিরোজ হাসান ওরফ মোকলেস, মাহাবুব হাসান মিলন ও আবু নাছির ওরফে রুবেলকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
এছাড়া আসামি গোলাম রব্বানী পলাতক রয়েছে এবং মামলা চলাকালীন সময় আর এক আসামি সাদ্দাম হোসেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় মত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা আত্মস্বীকৃত জেএমবি সদস্য। হোসেন আলী হত্যার মধ্য তারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছিল এবং দেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর পায়তারা করছিল। হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও বিস্ফোরক মামলায় কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
২০১৬ সালের ২২ মার্চ সকাল ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের গড়ের পাড় এলাকায় প্রাতঃ ভ্রমনে বের হয়েছিলেন মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মারিত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী। ওত পেতে থাকা জঙ্গিরা এসময় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে জঙ্গিরা ভিতিকর অবস্থা তৈরি করতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ছেলে রাহুল আমিন আজাদ বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় হত্যা মামলা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন।
একই বছরের ৫ নভেম্বর মামলাগুলোর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে মামলাগুলোর অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার মোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.