ড. আইনুন নিশাত সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় মধুরতম’ অভিজ্ঞতা কী? উত্তরে একটুও সময় নিলেন না। ‘গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অথবা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্মকর্তার দিক থেকে টেকনিক্যাল বিষয়ে কোনো সুপারিশ বা চাপ আসেনি। কোনো তদবিরের মুখোমুখি হইনি। বড় ধরনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এটাই কাঙ্ক্ষিত। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছি। স্বপ্ন সফল হয়েছে, পদ্মা সেতু চালু হয়েছে।
প্রসঙ্গত বলি যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে ৪৪ মাসে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি, ২৪ মাস ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। বাকি ২০ মাস বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত কয়েকজন পদস্থ ব্যক্তির কাছে শুনেছি মন্ত্রণালয় থেকে যখন তখন হুকুম আসত। তদবির-সুপারিশের শেষ ছিল না। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকেও তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার অনুরোধ এসেছিল। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরেও তদবির হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি দৃশ্যপট বদলে যায়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা সেতু নির্মাণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন। তিনি কেবল একটি বিষয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছিলেন সেতুতে রেল সংযোগ থাকতেই হবে। পদ্মা সেতুতেও তিনি কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেননি। তিনি বাংলাদেশে গর্ব হয়ে থাকা সেতুটি দেখতে চেয়েছেন এবং তাঁর প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
মূল লেখা- অজয় দাসগুপ্ত
সিনিয়র সাংবাদিক
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.