মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামে ভরনিয়া দাখিল মাদরাসাকে কেন্দ্র করে ৭ শিক্ষার্থীর মাদরাসায় ১৮ শিক্ষক-কর্মচারী শিরোনামে দৈনিক নবচেতনা ও দৈনিক শব্দমিছিল এবং দৈনিক দাবানল, দৈনিক ভোরের ডাক, দৈনিক জনতা সংবাদ প্রকাশের পর রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রানীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ঐ মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন। শনিবার (২ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রানীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. তৈয়ব আলী। তবে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবেই পরিদর্শন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মাদরাসাকে কেন্দ্র অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গত ২৭ জুন রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শনে আসেন এবং ৩০ জুন রানীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পরিদর্শনে আসেন। রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘মাদরাসা পরিদর্শনে রেগুলার ইয়ের অংশ হিসেবে গিয়েছি। এখানে আবার কী বলেন ? কী দেখলেন এবং দেখে কী মনে হলো ? উত্তরে বলেন, এটা আগে আমাকে ডিসি স্যারকে জানাতে হবে। আমি কোনো অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাইনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেলে একটা কথা ছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া আছে। উপবৃত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, মাদরাসা থেকে ৪২ জন উপবৃত্তি পায়। তার মধ্যে ১৪ জন অনুপস্থিত থাকে। তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে মাদরাসায় আসার জন্য। ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির বিষয়ে বলেন, কমিটির কোন্দল, এলাকার লোকজনের মধ্যে হিস্যা আছে, সে জন্য আসে না। শিক্ষকদের দায়িত্বের মধ্যে কী পড়ে না? প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তাদের দায়িত্বের বিষয়টি আমার ইয়ের মধ্যে পড়ে না, তাই না। এটা আবার তাদেরকে ডেকে আলোচনা করতে হবে। তারা চেষ্টা করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসার জন্য। আমার মনে হয় যাদের সঙ্গে গ্যাঞ্জাম, তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বসে আলোচনা করতে হবে।
এটা কী নতুন সমস্যা মনে করছেন? উত্তরে বলেন, আমাদের নলেজে নতুন এসেছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আপনাদের নিউজ হোক আর যেকোনো ভাবেই হোক আমরা তো গিয়েছি। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমি মাদরাসায় গিয়েছিলাম। শিক্ষকদের নিয়ে মতবিনিময় করেছি। আড়াই তিন ঘণ্টা ছিলাম। তাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। তারপরও নজরদারিতে থাকবে। পরিস্থিতি কেমন দেখলেন? প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পরীক্ষা তো শেষ, প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গতপরশু তো পরীক্ষা ছিল? উত্তরে বলেন, গত পরশু পরীক্ষা ছিল না। পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। আপনি কী পরীক্ষার রুটিনটা দেখেছিলেন সেদিন ? আমাকে বলেছে, পরীক্ষা ছিল না। এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেখলাম যে কতজন পরীক্ষা দিয়েছে। দেখলাম মোটামুটি ভালো। করোনাভাইরাসের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ষগুলো আমার নজরদারিতে থাকবে।’
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.