মোঃ খলিলুর রহমান সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কোরবানির পশুর হাট গুলো ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় জমে উঠেছে। দরকষাকষিতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বাইরে থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী না আসায় বিক্রি কম হচ্ছে। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
সরেজমিনে, সাতক্ষীরা বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা যায়, আড়াই হাজার গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে হাটে তুলেছেন খামারি ও বেপারীরা। পছন্দের পশুটি কিনতে বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। দরদাম সমন্বয় করে কেনার চেষ্টা করছেন।
গরু ব্যবসায়ী হান্নান মোড়ল জানান, কোরবানির জন্য গরুটি কিনলাম। গরুটি আজকের হাটে আসা সব থেকে বড় গরু। ন্যায্যমূল্যে গরুটি ক্রয় করতে পেরেছি।
হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি ওবায়দুর রহমান বলেন, এখন গরুর খাবারের দাম বেড়েছে। খাবারের দাম বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গরুর দাম বৃদ্ধি করা হলে চাহিদা কমে যাচ্ছে। ফলে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া দেশের উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বন্যাদুর্গত এলাকার অনেক খামারি গো-খাদ্য ও শুকনো জায়গার অভাবে লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ কারণে বাইরের বেপারিরা সাতক্ষীরার স্থানীয় হাটগুলোতে না আসায় লোকসান হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর আবাদের হাট ইজারাদার হাবিবুর রহমান বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় গরুর দাম বেশি থাকলেও বেচাকেনা স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। এ বছর বাইরের জেলার বেপারিদের আনাগোনা কম। আজ আড়াই হাজার গরু হাটে উঠেছে। বিক্রি হয়েছে ৩০০ গরু। দিনশেষে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
সাতক্ষীরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ পশু সাতক্ষীরায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যেটা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। তবে গোখাদ্যের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। তাই বাধ্য হয়ে তুলনামূলক কম দামে পশু বিক্রি করছে খামারিরা।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।