মোঃ সাহিদুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
আর মাত্র মাঝখানে একদিন বাকি,তারপরেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা।যা আমরা কুরবানির ঈদ বলেও জানি।
ঈদুল আজহা মানে পছন্দের পশু জবাই করা,সামর্থ অনুযায়ী সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জবাই করবে উট,গরু,মহিষ,ছাগল,ভেড়া-দুম্বা সহ বিভিন্ন জাতের পশু।আর এই পশু জবাইয়ের অন্যতম উপকরণ হলো দা-ছুরি।
এখন তাই পশু কেনাকাটার পাশাপাশি মানুষজন ভিড় করছে কামারের দোকানে।উদ্দেশ্য একটাই সারাবছর ধরে অবহেলিত ভাবে ফেলে রাখা দা-বটি-,ছুরি গুলো শেষ সময়ে শান দেওয়া ও মেরামত করা।সরজমিনে দেখা যায় জেলা এবং উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবস্থিত কামারের দোকান গুলোতে,শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা।চারপাশে টুংটাং শব্দ আর শান দেওয়ার আওয়াজ।নিজেদের দা-ছুরি-বটি মেরামত করতে ও শান দিতে কুরবানিওয়ালা এবং সাধারণ মানুষও অপেক্ষা করছেন কামারের দোকানে
এব্যাপারে কথা বললে,কামারেরা বলেন এটা আমাদের বাপ-দাদার পেশা,বর্তমানে এ পেশায় আগের মতো তেমন ইনকাম নেই।সারাবছর আমরা কাজ না পেয়ে কোনো রকম কষ্টে দিন পার করি,কুরবানির ঈদ আসলে কিছুটা আনন্দে দিন কাটায়।বাপ-দাদার কাছ থেকে এ কাজ ছাড়া অন্যকিছু শিখতে পারিনি তাই এটা ধরে বসে আছি।তাঁরা আনন্দের সাথে আরও বলেন,প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মোটামুটি ক্রেতা পেয়েছি,আশা করছি আরও কিছু পাবো।
এদিকে দোকানে দা-,ছুরি শান ও মেরামত করতে আসা মানুষজনের সাথে কথা বললে, তাঁরা জানান মূলত কুরবানির ঈদ কে সামনে রেখে কামারের দোকানে আসা।এই শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে,আগে আমাদের এলাকায় অনেক দোকান ছিল এখন কমে গেছে যার কারণে দা-বটি-,চুরি শান বা মেরামত করতে বেশি টাকা চাচ্ছে কামারেরা।
উল্লেখ,আগামী ১০জুলাই সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা।দুটো বছর করোনার কারণে অনেকে কুরাবানী দিতে না পারায়,এবারে একটু বেশি পশু কুরবানি হওয়ার আশংকা সাধারণ মানুষের।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2025 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.