মোঃ কামাল হোসেন খাঁন,মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
হিজড়াদের অত্যাচারে হয়ে উঠেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাবাসী। জন্ম নেওয়ার নবজাতক শিশুকে নাচানো জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে অর্থ উপার্জন করায় তাদের মূল লক্ষ্য। গ্রামেগঞ্জে প্রতিটি শিশু নাচানোর জন্য ৩-৫হাজার,শহর এলাকায় ১০-১৫হাজার টাকা দাবি করেন হিজড়ারা।কোন পরিবার যদি টাকা দিতে অনিচ্ছা পোষণ করেন হিজড়ারা তাদের পরিহিত পোশাক হলে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। তখন টাকা দিতে বাধ্য হয় ওই নবজাতকের পরিবারের লোকজন।
ভবানীপুর গ্রামের আতাউল হক জানান, কিছুদিন আগে আমার গ্রামে একটি হিজড়ার দল এসেছিল তারা বাড়িতে বাড়িতে খুঁজে জন্ম নেওয়ার শিশু খুঁজে বের করে।শিশু নাচানোর নামে ২-৫হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করে। ওই পরিবারের লোকজন অসচ্ছল হওয়ায় টাকা দিতে ব্যর্থ হলে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে।
নওদা মটমুড়া গ্রামের পারভেজ আলী জানান, একদিন আগে আমার ভাইয়ের এক ছেলের পরে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিয়েছে। হিজড়ার দল এসে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমরা টাকা না দিতে চাইলে তারা তাদের পরিহিত পোশাক খুলে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। পরে বাধ্য হয়ে ৭হাজার টাকা দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাংনী পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের এক ব্যক্তি জানান, হিজড়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গাংনী পৌরসভা বাসি। কারো ২-৩তলা বাড়ি থাকে তাহলে ১০-১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। যদি টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে হিজরাদের পরিচিত পোশাক খুলে উলঙ্গ অবস্থায় ওই নবজাতকের পরিবারকে গালাগালি শুরু করে।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, হিজড়াদের সরকারি বেসরকারিভাবে কোন জায়গা থেকে এমন কোন নির্দেশনা নেই যে তারা এভাবে টাকা উত্তোলন করবে। যদি কেউ এমন ভাবে টাকা উত্তোলন করে বিষয়টি আমার নজরে আনবেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী। সম্পাদক/প্রকাশক-রবিউল ইসলাম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-সাবিহা প্রমানিক। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ ধানমন্ডি শংকর ঢাকা-১২০৯, মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪, ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩, ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com ।