মিজানুর রহমান লাভলু,কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী এলাকায় এলজিইডির সড়কের কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করায় হাজারো বিঘা ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের একদিন পর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির উপস্থিতিতে পানি নিষ্কাশন শুরু করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল১টার দিকে কানাইঘাট থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে নিবার্হী কর্মকর্তা যেখানে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে পানি
নিষ্কাশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরেজমিনে সেখানে পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি ৭নং দক্ষিন বানীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা অলিউর রহমান,
থানার সেকেন্ড অফিসার সোহেল মাহমুদ এবং স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের
উপস্থিতিতে যে সব জমির মালিক এলজিইডির কালভার্ট মাটি ভরাট করে বন্ধ করে দিয়েছে তাদের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলেন। একপর্যায়ে যারা কালভার্ট ভরাট করে নিজ দলইকান্দি বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠের পানি নিষ্কাশন বন্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন তারা কালভার্টের মুখ থেকে
মাটির বাধ সরিয়ে পানি নিষ্কাশনে রাজী হলে নিবার্হী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির
উপস্থিতিতে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে যাতে করে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ থেকে জলাবদ্ধতার পানি নেমে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান স্বাভাবিক সহ
জন দূভোর্গ লাঘব হয় এজন্য পানি নিষ্কাশনের জন্য যা যা করা দরকার তাহা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সাথে কথা হলে তিনি বলেন পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ হওয়ার কারনে মূলত গাছবাড়ী এলাকার নিজ দলইকান্দি ক্ষেতের মাঠে আগের বন্যার পানি ও বৃষ্টির পানি জমে এ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন ও আবু বক্করকে নির্দেশ দেওয়ার পরও অনেকের অসহযোগিতার কারনে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। যার ফলে তিনি সরেজমিনে গিয়ে যারা কালভার্টের মুখ মাটি ভরাট করে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা করেছেন তাদের সাথে আন্তরিক ভাবে কথা বলার পর তারা পানি নিষ্কাশনে রাজী হওয়ার পর কাজ শুরু হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতার অবসান হবে। ভবিষতে
যাতে করে এ বিস্তৃর্ণ মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা না দেয় এ জন্য পানি নিষ্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতি মধ্যে প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে এবং এ জনদূভোর্গের পুরোপুরি অবসান করা হবে বলে নিবার্হী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি জানান। প্রসঙ্গত যে, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় নিজ দলইকান্দি গ্রামের বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ ডুবে গিয়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানে ব্যাহত হাজারো বিঘা জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এমন জনদূভোর্গের সংবাদ গতকাল বুধবার পত্রপত্রিকায় ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নিবার্হী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি তাৎক্ষনিক পানি নিষ্কাশনে এগিয়ে আসেন।