মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃবঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরাসহ ১৪ জেলায় দুই থেকে চার ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর সর্তকতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় নদীর পানি বেড়েছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলের ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, রাত থেকেই হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের সময় বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। গাবুরা, নাপিতখালি, জেলেখালি, তিন নম্বর পোল্ডারসহ বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোন সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, পাউবো-১ এর আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৪২ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকায় মেরামত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, পাউবো-২ এর আওতায় সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলে ৪০০ কিলোমটিার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও উপকূলীয় নদীতে ২-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১-২ দিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে। তারপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.