মোঃ আব্দুর রহমান (হেলাল),ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ
স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে ভোলা সদরের একমাত্র নতুন এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসা “উত্তর রতনপুর দাখিল মাদ্রাসা”বঙ্গবন্ধু শেখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে কবিতা আবৃত্তি আলোচনা সভা ও তার রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়ার ও দুরদ কর্মসূচি পালন করে । আজ সোমবার (১৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উত্তর রতনপুর দাখিল মাদ্রাসার সম্মানিত সুপার মহোদয়ের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়, উত্তর রতনপুর মাদ্রাসার সহকারী মৌলবি মোঃ আব্দুর রহমান ও শিক্ষক জনাব মনজুরুল আলমের পরিচালনায় উক্ত শোক দিবসের আলোচনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দশম শ্রেণীর ছাত্রী রাশিদা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মোঃ হাসনাইন , রাজিয়া ও নাজমুন এবং নবম শ্রেণীর ছাত্রী আয়েশা, শিক্ষকদের মধ্যে হতে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান , সহকারী মৌলভী মোঃ আব্দুর রহমান, সম্মানিত সুফল মহোদয় মাওলানা সালাউদ্দিন সাহেব এবং মনজুর আলম আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী মৎস্য জিবি লীগের সেক্রেটারি মোঃ আজিজুল্লাহ, বক্তারা তাদের শোকার্ত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের উপর বিশদ আলোচনা করেন এবং আলোচনা শেষে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন, বক্তারা তাদের আলোচনায় বলেন
১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বাংলাদেশের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সে দিন বাংলাদেশের ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নৃশংসভাবে নিহত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সকল অনুভূতি, ত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের দ্বারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৪৮-এর মার্চে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে আন্দোলন, ’৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম, ’৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও ১১-দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগ’-এর নিরঙ্কুশ বিজয় এবং ১৯৭১ সালে তার নেতৃত্বে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা এ সকল কিছুই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান। আলোচনা শেষে উত্তর রতনপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক কারী আবুল কালাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফের আয়াত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, সর্বশেষ শোক রেলির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সভাপতি মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সালাউদ্দিন সাহেব অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।