মহসীন শেখঃ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট। বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে এক কলঙ্কিত দিন। দিনটি বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে বেদনার। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির পিতা, পৃথিবীর একমাত্র ভাষা ও জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্রষ্টা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশবিরোধী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিছু দুষ্কৃতকারী সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পরই সামরিক শাসন ও কারফিউ জারির ঘোষণাও দেওয়া হয়। বঙ্গভবন, শাহবাগের বেতারকেন্দ্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ট্যাংক ও মেশিনগান নিয়ে অবস্থান নেয় খুনিচক্রের অনুসারী সেনা সদস্যরা। সারাদেশে ক্যাম্প স্থাপন করে অবস্থান নেয় বিপদগামী সেনারা। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় বাকশাল ও এর সব অঙ্গসংগঠন। রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ করা হয় সভা-সমাবেশ-মিছিল। রাতে কারফিউ জারি করা হয়। দিনে সেনা টহল। রাজনৈতিক নেতাদের ধরপাকড় শুরু হয়। সারাদেশে তৈরি হয় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। সংবাদপত্রের ওপর আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও দলীয় নেতাকর্মীদের উপর ধরপাকড় এবং নির্যাতন শুরু হয়। সেসময় সারাদেশের ন্যায় থমকে যান কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। পরবর্তীতে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা কক্সবাজারের তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিশ্বের ইতিহাসে নৃশংস এই হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কক্সবাজার জেলায় প্রথম কারাবরণ করেন তৎকালিন ছাত্রলীগ নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।
জাতির এই মহান বীর সেনানি, তৎকালীন সময়ে মহকুমা ছাত্রলীগের কক্সবাজার জেলা শাখা ও কক্সবাজার কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রিড়া সম্পাদক এবং কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার ছিলেন তিনি।
এছাড়াও আবাহনী ক্রীড়া চক্রের কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা ক্রিড়া চক্রের জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। একাধারে তিনি ক্রীড়াবিদ এবং ক্রিড়া সংগঠক।
এছাড়াও বর্তমানে জেলার গণমানুষের অধিকার আদায়ে বৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’ এবং সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে কথা হয় একান্ত সাক্ষাৎকারে।
সাক্ষাৎকারে জানা গেছে বহু অজানা ইতিহাস।
একান্ত সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরবর্তী বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ইতিহাস কমবেশি আমরা সকলেই জানি। তবুও এমন বিরল কিছু ঘটনাবলী থেকেই যায়, যা আমাদের কাছে আজও অজানা। তাই সকলের অবগতির জন্য এমন কিছু ঘটনার বিষয়ে তুলে ধরেছেন এই বীর সেনানি।
সাক্ষাৎকারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, ১৯৭১ সালে যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে এই দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করি।
সেসময় পাকিস্তানি হানাদার এবং পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশকে জ্বালিয়েপুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিলো পাক হানাদার এবং স্বাধীনতা বিরোধিতা।
স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু যখন আমাদের এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্র গঠনে কাজ করেছিলের ঠিক সেই মুহুর্তে পাকিস্তানী প্রেতাত্মা এবং স্বাধীনতা বিরোধিরা নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলো।
ওসব ষড়যন্ত্রকারীরা কক্সবাজারে একটি সমাবেশের ডাক দেয় জেলেপার্ক মাঠে। সমাবেশটি বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতেই আয়োজন হয়েছিলো বলে জানতে পেরে আমরা তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সিদ্ধান্ত নিলাম জীবন বাজি রেখে এ সভা পন্ড করবো।
যথারীতি জেলেপার্ক মাঠে সভা আয়োজন করা হলো। সভায় ২০ হাজারেরও বেশি স্বাধীনতা বিরোধিরা অংশ নেয়। সভাটিতে একের পর এক বক্তা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তৃতা শুরু করেন। আ.স.ম আব্দুর রব, তৎকালীন মেজর এমএ জলিলসহ অন্যাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভায় বক্তারা ‘কিসের বঙ্গবন্ধু, কবরস্থানের বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা না জুতার ফিতা’ সহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তৃতা শুরু করলে আমরা তখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে চারভাগে বিভক্ত হয়ে ঝাপিয়ে পড়ি স্বাধীনতা বিরোধিদের সেই সভায়। সভা পণ্ড করে দিতে সক্ষম হলাম।
সেসময় সভাটি পন্ড করতে অংশ নিয়েছিলাম আমিসহ তৎকালীন জয় বাংলার বাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, মহকুমা ছাত্রলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার(নুরুল আবছার চেয়ারম্যান), তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম মনসুরুল হক, মহকুমা ছাত্রলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার নেওয়াজ খান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুর আলম মজনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম।
এরপর থেকেই আমাদের প্রতিরোধের মুখে দেশের কোনো জেলায় কোথাও সভা করার সাহস পাননি স্বাধীনতা বিরোধি ওসব দোসররা।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে এভাবে সারা দেশে লাগাতার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে ৭৫ সালে সপরিবারে হত্যার পর আমরা যারা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের সকলেই কম বয়সী টগবগে তরুণ ছিলাম। তখন আমরা বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে প্রতিবাদ করবো।
সেমসয় জেলা অথবা কেন্দ্র থেকে তেমন কোনো নির্দেশ কিংবা সিদ্ধান্ত না আসলেও পরবর্তীতে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কক্সবাজার শহরের হোটেল সাইমানের দ্বিতীয় তলার হলরুমে বৈঠক করি। সে বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে সবসময় সোচ্চার থাকবো।
বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম সালাহউদ্দিন মাহমুদ, মহকুমা ছাত্রলীগ এর জেলা শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, মহকুমা ছাত্রলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার(নুরুল আবছার চেয়ারম্যান), তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম মনসুরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুর আলম মজনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আব্দুল্লাহ।
সাক্ষাৎকারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের এসে একজন আইনজীবী বললেন এডভোকেট বদিউল আলম নামের এক আইনজীবী কক্সবাজার আইনজীবী সমিতিতে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে, এমনকি বহু আইনজীবীর উপস্থিতে ছবিটিতে লাথি মারতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা আর দেরি না করে সেখানে ছুটে গিয়ে সেই আইনজীবীকে হেনস্তা করি।
এরপর পরই মুসলিম লীগের নেতা, কুতুবদিয়ার বাসিন্দা, স্বাধীনতা বিরোধি জালাল আহমদ বর্তমান পৌরসভার উত্তর পাশে অবস্থিত বৈশাখী মিষ্টি বিতান, তৎকালীন হোটেল পিপাসাতে বসে বঙ্গবন্ধুসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন খবরে ছুটো যাই সেখানে আমি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার গিয়ে তাকে খোঁজে বের করি নুর হোটেল থেকে। তারপর তাকে যথাযথ জবাব দেওয়া হয়।
ওসব ঘটনা জানাজানি হলে আমরা যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করি আমাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। তখন আমাদের অনেকেই আত্নগোপনে চলে গেলেও আমি ঘর ছেড়ে কোথাও যাইনি।
পরে ১৯৭৬ এর ১জানুয়ারী ঈদুল আজহার আগের রাত ১২ টার দিকে পুলিশ আমাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কক্সবাজার শহর থেকে আমাকে প্রথম গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একইদিন উখিয়া থেকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট আহমদ হোসেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, টেকনাফের হ্নীলা উপজেলার প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার আমির আলী, রামুতে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান এবং ছৈয়দ আলম সওদাগর, কুতুবদিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ আহমদ, মুন্সি আবদুল মোতালেব(কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সহ সভাপতি) এবং কাস্টমস কর্মকর্তা হাফেজ আহমেদ, মহেশখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আহাম্মদসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। আমরা সকল কারাবন্দীর বিরুদ্ধে আনা হয় রাষ্ট্রদোহীতার অভিযোগ। পরে আমিসহ সকলকে একসপ্তাহ কক্সবাজারে রাখার পর চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম কারাগারে। দীর্ঘ ৭ মাস আমি কারাগারে ছিলাম।
এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীনতা বিরোধিদের বিরুদ্ধে মাঠে থেকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করি স্বাধীনতা বিরোধিদের বিরুদ্ধে। সেসময় খুবই ঝুঁকি নিয়ে বিজয় মেলা উদযাপন সহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে সাথে নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাই।
এছাড়াও শহীদ সরণি, মুক্তিযোদ্ধা সরণি এবং বিজয় সরণির নাম প্রস্তাব করি। পরে জেলা প্রশাসন এবং পৌর প্রশাসন যৌথভাবে সড়কগুলোর নামকরণ করে।
তাছাড়াও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে পূর্ণাঙ্গ করার দাবীতে জেলা প্রশাসনের বরাবরে তিনি আবেদন করলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল কবির তা অনুমোদন করে পৌরসভাকে নির্দেশ দিলে তা বাস্তবায়িত করা হয়েছিলো।
বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে নিয়ে জেলা সকল অন্যায় এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর উল্লাস করেছিলেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন, কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত এখনও কক্সবাজার পৌর শহরে ওসব রাজাকারের নামে সড়কের নামকরণ রয়েছে। যা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা। বর্তমানে স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকলেও কক্সবাজারে রাজাকারদের নামে সড়ক রয়েছে। এরচেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারেনা।
তিনি বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে এর প্রতিবাদ করে আসছি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সভায়। কিন্তু আজও কাজের কাজ কিছুই হলোনা। রয়েই গেলো রাজাকারের নামে সড়ক।
এ প্রসংগে তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধিদের নামে কোনো সড়কের নামকরণ করা যাবেনা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ করতে হবে, এমন একটি উচ্চ আদালতে আদেশ আজও বলবদ রয়েছে। কিন্তু দায়িত্বশীলরা সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না বলেই এমনটি হচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী দাবি করেছেন, শোকের মাস আগস্টের মধ্যেই যেনো সড়ক থেকে স্বাধীনতা বিরোধিদের নাম মুছে ফেলা হোক।
পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সারাদেশের ন্যায় যারা উল্লাস এবং মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন সেসব স্বাধীনতা বিরোধিদের একটি তালিকা তৈরী করে অচীরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
বর্তমানে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সেই স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারও মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা দেশি-বিদেশি চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, গনতন্ত্রের মানস কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লাগাতার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।