বদরুদ্দোজা প্রধান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আবারও বাংলাদেশে নারী ও শিশুসহ ১৮ জনকে পুশইন করেছে। বুধবার ভোরে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলার তিনটি পৃথক সীমান্ত দিয়ে এ পুশইনের ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির টহল দল পুশইনকৃতদের আটক করে নিজ নিজ বিওপিতে নিয়ে যায়। বিজিবি ও সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন শুকানি সীমান্ত দিয়ে ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ট্যাপরাভিটা ক্যাম্পের সদস্যরা মেইন পিলার ৭৪১-এর ৪ নম্বর সাব-পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে নারী ও শিশুসহ ৫ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে বিজিবি ১৮ ব্যাটালিয়নের ভজনপুর বিওপির টহল দল তাদের দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকা থেকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন: নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মাধবপাশা বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত খোকা গাজির ছেলে মনির গাজি (৩২), তার স্ত্রী সালেহা বেগম (২৫), মেয়ে নাজিয়া (৮), নাফিজা (৪) ও রাবেয়া (২)। প্রায় একই সময় সদর উপজেলার টোকাপাড়া সীমান্ত দিয়ে মেইন পিলার ৭৪৫-এর ৩ ও ৪ নম্বর সাব-পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ৬ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। পরে টোকাপাড়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাদের কমলাপাড়া এলাকা থেকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন: নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের রউফ ফকিরের ছেলে রাজিব ফকির (২৩), তার বোন রেশমা বেগম (২২), তার এক বছরের মেয়ে ফাতেমা ফকির, একই এলাকার দুলাল মোল্লার ছেলে আকছেদ মোল্লা (৩০), তার চার মাসের ছেলে হাসিবুল মোল্লা এবং রূপল শেখের মেয়ে জামেলা খাতুন (১৯)। এছাড়া একই দিন সকালে সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধর ভাঙা সীমান্ত দিয়ে মেইন পিলার ৭৫৮-এর ৯ নম্বর সাব-পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ৭ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। পরে জয়ধর ভাঙা বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন: নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার হাড়িডাঙ্গা এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবেদ শেখ (৪০), মাধবপাশা গ্রামের সামাদ মেখের ছেলে নুরুল শেখ (৭০), তার ছেলে জাকারিয়া শেখ (২২), টুটুল শেখের স্ত্রী পারভীন, তার মেয়ে শারমিন (৯), নাজমিন (৬) এবং ছেলে ঈশা শেখ। আটককৃতদের তেঁতুলিয়া ও পঞ্চগড় সদর থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।