রাকিব হোসেন,ঢাকাঃবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার গণদাবী বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদেরের সাথে স্বাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করে এবং বয়সসীমা বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। যুব প্রজন্মের পক্ষে তানভীর হোসেন এবং রেজওয়ানা বিন্দু এসময় তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন যে ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির অঙ্গীকার উল্লেখ করে। ওবাইদুল কাদের আলোচনাকালে বলেন, “যেহেতু বিষয়টি ইশতেহারে উল্লেখ ছিলো সুতারাং বিষয়টি বিবেচনা করা হবে”।
এ বিষয়ে চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের অন্যতম সমন্বয়ক সাজিদ সেতুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়ে পরবর্তীতে সরকার গঠনের পরও চার বছর হতে চললো৷ অথচ ইস্যুটি এখনও উপেক্ষিত। ২০১৮ সালে ওয়াদা করা হয়েছিলো৷ এরপর করোনা সকল বয়সী শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে দুই বছর কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীতকরণ এখন সময়ের দাবি এবং এটি বাস্তবায়নে কোন প্রকার কালবিলম্ব সারা বাংলাদেশের যুব প্রজন্ম আশা করে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি মিডিয়াতে জানিয়েছেন যে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত সকল অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ আমরা উনার বরাবর খোলা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি এত বড় একটি ওয়াদা বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে অবশ্যই এটি দাবি করা যায় না যে সকল নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সকলকে বিষয়টি অবগত করেছি। আমরা আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত বড় উচ্চশিক্ষিত ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করবেন না।”