মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরা সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার মানুষের পাশে পাউবো যখন অতন্দ্র প্রহরী। নদ-নদী ও সুমদ্রপৃষ্টের উচ্চতার ফলে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগেও যে পরিমান পানি বৃদ্ধি পায়নি,বর্তমান তাঁর চেয়েও বেশি উচ্চতায় উপকূলীয় নদ নদীতে জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শ্যামনগর উপজেলার পাউবো -১ এর অধীনে ১৫১ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ঝূঁকিতে দেড় কিলোমিটার বেঁড়িবাধ।যার মধ্যে পশ্চিম দূর্গাবাটি,দাতিনাখালী,লেবুবুনিয়া,বেড়ালক্ষী,গাগড়া মারি,কৈখালি,জেলেখালি,গাবুরা ঘাট সংলগ্ন সুইচগেট। সম্প্রতি গত ১৪ ই আগষ্ট পশ্চিম দূর্গাবাটি বাঁধ খোলপেটুয়া নদীতে পূর্ণিমার জোয়ারের চাঁপে প্রায় ৬০ মিটার বিলীন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,পানি উন্নয়ন বোর্ড সমন্বয় করে ঠিকাদার নিয়োগ করে ১৫০০ শ্রমিক দিয়ে টানা ৬ দিন কাজ করে বাঁধ নিয়োন্ত্রনে আনে। এতে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের ৬ গ্রামের মানুষ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম,উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন সহ নেতৃত্বে থাকা সকলে প্রশংসনীয় এখন ভুক্তভোগীদের কাছে। এ বিষয়ে দূর্গাবাটি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নীলকান্ত মন্ডল,মলিনা রানী সহ স্থানীয় আমিনুর রহমান,উষা রানী,সঞ্জয় মন্ডল সহ একাধিক ভুক্তভোগী এ প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন,দূর্গাবাটির বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে তাঁদের সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কোমর সমান পানিতে কাঁটে ২ দিন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যরা দিন রাত নেতৃত্ব দিয়ে বাঁধ মেরামত করায় এখন তাঁদের দিন কাটছে অনেক সুখে।
এ বিষয়ে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন,এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য শুনতাম। বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দূর্গাবাটির বাঁধ ভাঙ্গার যে ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তা কর্মাচারীদের আন্তরিকতা দেখেছি তা সত্যই প্রশংসনীয়।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন জানিয়েছেন,দূর্গাবাটির বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ঠিকাদার নিয়োগ সহ ১৫০০ শ্রমিকের মুজুরী প্রদান ও বাঁশ,জিও ব্যাগ,সহ যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহ ছিল এক দৃষ্টান্ত।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানিয়েছেন,শ্যামনগর উপজেলার ঝূঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ ২৪ ঘন্টা লোক রেখে পাহারা দেওয়া হয়। সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বাঁধের কোন ক্ষতি হলে তাৎক্ষণাত ব্যবস্থা গ্রহণে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। এ ছাঁড়া বেঁড়িবাধ এলাকার সকল জনপ্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রাখা হয়। বেঁড়িবাধ রক্ষা সহ উপকূলীয় মানুষের
জানমাল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বিক প্রস্তুত।তিনি আরও জানিয়েছেন ৬০ এর দশকে নির্মিত বেঁড়িবাধ প্রতিরোধ করেছে অসংখ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ। গাবুরায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানে ১৫ নং পোল্ডারে এক হাজার কোটি কোটি বরাদ্ধ হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সরকার সকল বেড়িবাঁধ টেকসই ভাবে নির্মান করবেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.