এস এম সোহেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন বিএনপি লাশের রাজনীতি করতে চায়। তারা লাশের উপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের উন্নয়ন চোখে দেখেন না। অথচ তাঁর বাড়ি যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ থেকে রংপুর পর্যন্ত ৬ লেন মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যা দিয়ে এখন যানবাহন চলাচল করছে।দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ সেতু বিশ্বের কাছে আজ বিস্ময়। এছাড়া রাজধানীতে মেট্টোরেল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেশে ব্যাপক উন্নয়নের নজির।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বে দরবারে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মান করে প্রধানমন্ত্রী প্রমান করে দিয়েছে বাংলাদেশ অন্য কারো কাছে নিরাপদ নয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সবার মাথার মনি তার আদেশে আমরা এদেশেকে সোনার বাংলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পর তিনি তার বসতভিটায় বসে কিভাবে বলেন যে পাকিস্তানই ভালো ছিল। তার এই বক্তব্য মুকিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদদের প্রতি অবমাননা।আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানব উন্নয়ন, সামাজিক অর্থনৈতিকসহ সমস্ত সুচকে আমরা পাকিস্তানকে বহু আগেই অতিক্রম করেছে। এবং যেখানে পাকিস্তান নিজেরাই বলছে, বাংলাদেশ তাদেরকে পেছনে ফেলে বহু দূর এগিয়ে গেছে, তারা আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে সেখানে মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন- পাকিস্তানই ভাল ছিলো। তিনি প্রশ্ন করেন তারা কি বাংলাদেশ কে পাকিস্তান বানাতে চাই।
এই কথার মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব প্রমাণ করেছেন বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাদীনতার ৫১ বছর আমরা দেশটাকে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে তুলে দিতে পারিনা। রাজপথে আন্দোলনের নামে বিএনপি যান বাহন ভাংচুর করছে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে, মানুষের ওপর হামলা করছে এসব মেনে নেওয়া যায় না।
আজ শনিবার তিনি গাইবান্ধা শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালীতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। এর আগে গাইবান্ধার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল আলম হীরুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সফুরা বেগম রুমি, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন সহ জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।