মোঃ মুশফিক হাওলাদার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ প্রজনন সময় নিশ্চিত করতে ২২ দিনের জন্য নদীতে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন ভোলার প্রায় দুই লাখ জেলে। এখন তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটতে শুরু করেছেন। আর তাই নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিকেই সরকারিভাবে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল হাতে পেতে চান তারা।
ভোলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার। তবে প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ২ লাখের মতো। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ভোলার উপকূলী অঞ্চলে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
প্রতিবারই নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেদের হাতে চাল পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে। এতে তাদের ধার-দেনা করে চলতে হয়।তাই এবার যেন বরাদ্দকৃত চাল দ্রুত দেওয়া হয় এমন দাবী তুলেছেন জেলেরা।
মৎস্যঘাট গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় ঘাটে ভেড়ানো হয়েছে শত শত মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার। কাজ না থাকায় অনেক জেলেকেই ঘাটে বসে জাল বুনতে দেখা গেছে। কেউ আবার ঘাটে অলস সময় পার করছেন। এদের মধ্যে নৌকা ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে অনেককেই।
লালমোহন উপজেলার বাত্তিরখাল মৎস্য ঘাটের জেলে মো. শরীফ বলেন, ‘মাছ ধরা বন্ধ তাই ঘাটে ট্রলার নোঙ্গর করেছি। এখন ইঞ্জিন মেরামত করছি, জেলে আবুল কালাম বলেন, মাছ ধরেই স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ৫ সদস্যের সংসার চালাতে হয়। ইলিশ ধরা বন্ধ, তাই দ্রুত আমাদের বরাদ্দের চাল বিতরণের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে ২৫ কেজি করে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ রয়েছে। খুব দ্রুত জেলেদের মাঝে বরাদ্দের চাল বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.