মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ও ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন এবং রাস্তার পাশে খাল ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য ক্যানেল না থাকায় অনাবাদী হয়ে পড়েছে ১২ শ’ হেক্টর জমি। এসব জমিতে আমন ধান চাষ করতে না পারায় বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকরা। এলাকাবাসী ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, হরিপুর উপজেলার লহুচাদ, ভাতডাঙ্গী, কামারপুর, পতনডোবা, শিহিপুর, দামোল, হেন্দ্রগাও, শিশুডাঙ্গী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত গ্রামের আঞ্চলিক রাস্তার পাশের খাল ভরাট ও মাঠের ভেতরে যত্রতত্র পুকুর খননের কারণে বন্যার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এসব জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে না পারায় অনেক কৃষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। লহুচাঁদ (ভাতভাঙ্গী) গ্রামের কৃষক আমির হোসেন বলেন, ‘এ বছর বোরো ধান কাটার পরে মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রায় ১২ শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ বন্ধ আছে। আমাদের গ্রামসহ পাশের এলাকার পাঁচটি গ্রামের মাঠের পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট করায় মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে আমন ধান আবাদ করতে পারছি না।’তিনি আরো বলেন, ‘হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন দফতরে একাধিক বার নিষ্কাশনের জন্য আবেদন করার পরেও সুফল পাইনি।’হরিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুবেল হুসেন সাংবাদিককে বলেন, ‘এই বিলটি রাণীশংকৈল ও হরিপুরে অবস্থিত। নতুন নতুন জনবসতি হওয়ার কারণে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে একটি পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ক্যানেল হলে আমন মৌসুমে ডুবে থাকা জমিগুলোতে আমান ধান চাষ করা সম্ভব। এই ব্যপারে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হরিপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী তিতুমীর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমরা এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.