সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ ২৯.১০.২০২২
মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, নছিমন, করিমনসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির ঢাকা ধর্মঘটের কারনে কুড়িগ্রামেও বন্ধ রয়েছে বাস, মিনিবাস ও নৈশকোচ চলাচল। ধর্মগটের দ্বিতীয় দিনেও কুড়িগ্রাম থেকে এসব পরিবহন ছেড়ে না যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। অনেকেই বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়ায় ব্যাটারী চালিত অটো রিকসাসহ অন্যান্য যানবাহনে করে রংপুর কিংবা পার্শ্ববতর্ী জেলাগুলোতে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। ভোগান্তি বেড়েছে সাপ্তাহিক ছুটি শেষে অন্য জেলায় কর্মস্থলে ফেরা কর্মজীবি মানুষদেরও।
কুড়িগ্রাম বাস টার্মিনালে আসা রংপুরের যাত্রী রুহুল আমীন জানান, এ রকম ধর্মঘটের কারনে আমি হতাশ হয়ে পড়েছি। আমার রংপুর যাওয়াটা জরুরী। কিন্তু কিভাবে যাবো সেটা ভেবে পাচ্ছি না।
আরেক যাত্রী সাহাব উদ্দিন জানান, দিনাজপুর যাবো। অটোতে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে। কত সময় ও কত টাকা লাগবে জাানি। এগুলো মানুষকে হয়রানী করার ধর্মঘট।
মহাসড়কে থ্রিহুইলার, নসিমন, করিমনসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ ও কড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে প্রশাসনের হয়রানী বন্ধে পরিবহন ধর্মঘট আহবান করে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতি। একই দাবিতে কুড়িগ্রাম জেলা মটর মালিক সমিতি আনুষ্ঠানিক ধর্মঘট আহবান না করলেও শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধা ৬টা পর্যন্ত বাস, মিনিবাস ও কোচ চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান জানান, শনিকার সন্ধা ৬টার পর রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির ঢাকা ধর্মঘট শেষ হলে বাস, মিনিবাস ও কোচ চলাচল শুরু হবে। আমরা ধর্মঘট আহবান না করলে গাড়ির মালিকরাই গাড়ির ক্ষতির আশংকা করে সড়কে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবহন বন্ধ থাকায় রংপুরে বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা কুড়্রিগ্রাম থেকে মোটরসাইকেল ও অটোতে করে শুক্রবার বিকেল থেকে যেতে শুরু করেন। এমনকি জেলার নেতাকর্মীরা বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন পথে সমাবেশে যোগ দিতে রংপুরে পৌছেছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.