রাম বসাক,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বড় ধুনাইল গ্রামে মুসা গ্রুপ ও হালিম গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি, ফালা, টেটা, হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আধাঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, টেটা- ফালা নিক্ষেপসহ ৩টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও একটি দোকানে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের দুইজন ফালা বিদ্ধ হন এবং ইটের ঢিলের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, মুসা গ্রুপের ইব্রাহিম মোল্লা (৬০), রাসেল (৩৬), আসাদ (৪৫), মজিরন (৫০), সাইফুল (৩৫), এবং হালিম গ্রুপের সাবেক মেম্বর রাজ্জাক শেখ (৪২), নুর মোহাম্মদ (৩৮), রওশন (৩৬), ফারুক (৩২), ইউসুফ(৩০), হালিম(৩৫), আনছার (৪২), ইয়াকুব (২৬), শুকুর (৩৪)। আহতদের সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শাহজাদপুর থানার এসআই আহাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উভয় গ্রুপের বাড়ি থেকে ফালা, ঢালসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের হুরাসাগর নদীতে জেগে ওঠা দেড়শ বিঘা জমি উভয় পক্ষ নিজেদের দখলে রাখতে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে গত সোমবার রাতে গ্রামের একটি পক্ষ বিশাল গরু জবাই করে খেয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.