মোঃ সাজ উদ্দিন,সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার একমাত্র পাথর কোয়ারী শ্রীপুর। দীর্ঘদিন হতে সরকার কোয়ারীটি বন্ধ রাখে। সম্প্রতি পাথর কোয়ারী হতে একটি কতিপয় পাথর খেকু চক্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাম বিক্রি করে পাথর কোয়ারী হতে পাথর উত্তোলন করছে। বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি টিম সরেজমিন পরিদর্শনে আসলে দৃষ্টিগোচর হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এলাকাবাসী রহিম মিয়া, জজু মিয়া, কালা মিয়া, ফয়জুর রহমান, ইসমাইল হোসেন সহ প্রায় ৩০/৩৫ জন ব্যবসায়ী জানান, সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে শ্রীপুর পাথর কোয়ারী বন্ধ রয়েছে। অতি সম্প্রতি কতিপয় পাথর খেকু চক্রের সদস্য প্রায় ৩০/৪০ জনের শ্রীপুর পাথর কোয়ারী হতে স্থানীয় প্রশাসনের নাম বিক্রি করে উপজেলার ৩০ হাজার শ্রমিককে কর্মহীন রেখে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাথর লুণ্ঠন অব্যাহত রাখে।

১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সরকারি নির্দেশনায় শ্রীপুর পাথর কোয়ারী সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় গঠিত টিম ও জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন। কোয়ারী পরিদর্শনের পর পর পাথর খেকু চক্রের সদস্যদের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসনের নাম বিক্রি করে শ্রীপুর পাথর কোয়ারী হতে দিন-রাত সমান তালে পাথর লুণ্ঠন অব্যাহত রাখে। যার ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে পাথর খেকু চক্র ও কতিপয় সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্থানীয়রা আরও বলেন, সরকার কোয়ারী চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য শ্রীপুর পাথর কোয়রীর পাথর লুণ্ঠন বন্ধ রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশের টিম স্থায়ীভাবে রাখার দাবী জানান।

শুক্র ও শনিবার যথারীতি কোয়ারী হতে কতিপয় পাথর খেকু চক্রের নেতৃত্বে পাথর উত্তোলন হচ্ছে মর্মে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানান। যার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ১৩ নভেম্বর জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিপামনি দেবীর নেতৃত্বে শ্রীপুর পাথর কোয়ারীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বেশ কিছু পাথর জব্দ করা হয়। এ কাজে সংশ্লিষ্ট থাকায় কয়েকজন শ্রমিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ টিম অংশগ্রহণ করে।

জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিপামনি দেবী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করি। এসময় বেশ কিছু পাথর জব্দ করা হয়েছে। পাথর উত্তোলনে জড়িত থাকায় প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকজন শ্রমিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এখন হতে শ্রীপুর পাথর কোয়ারীতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হবে।