হেলাল হোসেন কবিরঃ লালমনিরহাটে শীতকালীন ব্রয়লার পালন এবং পরিচর্যা বিষয়ক কর্মশালা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা শহরের বানভাসা মোড় সংলগ্ন ৭১ ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত লালমনিরহাট কার্যালয়ে শীতকালীন ব্রয়লার মুরগি পালন সম্পর্কে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট, রংপুর এবং কুড়িগ্রামের প্রায় ৭০ থেকে ৮০জন ব্রয়লার খামারি। লালমনিরহাট ব্রাঞ্চের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এবং ৭১ ইন্টিগ্রেশন বাংলাদেশ এর এজিএম মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর দিক নির্দেশনায় উক্ত কর্মশালাটি সম্পন্ন হয়। উক্ত কর্মশালায় ৭১ ইন্টিগ্রেশন এর জিএম অপারেশন ডক্টর মোহাম্মদ নুরুল আলম শীতকালীন মুরগি পালন সম্পর্কে খামারিদেরকে ব্যাপক ধারণা প্রদান করেন। এতে করে শীতকালে মুরগি পালন করে কিভাবে আরও বেশি লাভবান হওয়া যায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খামারিরা বিস্তর ধারণা অর্জন করেন।
উক্ত কর্মশালা সম্পূর্ণ হওয়ার শেষ পর্যায়ে খামারিদের মুক্ত আলোচনায় তাহাদের সকল প্রশ্নের সুন্দর এবং গঠনমূলক উত্তর প্রদান করেন ডঃ মোঃ নুরুল আলম। সকল খামারিরা ইহাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ৭১ ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবং তারা আরও বলেন, বিশ্বের এই অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থাতেও আপনারা যেভাবে আমাদেরকে গুণগত মান সম্পূর্ণ খাবার, একদিনের বাচ্চা ও ঔষধ জামানতবিহীন প্রদান করিতেছেন এর জন্য আমরা ৭১ ইন্টিগ্রেশন বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। খামারি বৃন্দ আরও উল্লেখ করেন যে আমরা যখন ডিলারদের সাথে ব্যবসা করিতাম তখন আমাদের লাভ বা লস হবার পুরাটাই নির্ভর করতো মুরগির বাজারের মূল্যের উপর। অধিকাংশ সময়ে আমরা আমাদের প্রাপ্য মূল্য ডিলারদের কাছ থেকে পেতাম না। কিন্তু আপনাদের এই কন্ট্রাক্ট ব্রয়লার ফার্মিং পদ্ধতি আসার পর আমাদের লস হবার সম্ভাবনা নাই। উপরন্ত আমরা যারা খামারি আছি তারা মুরগির বাজার মূল্য যাই থাকুক না কেন চুক্তি মতো আমরা আমাদের প্রাপ্য পেয়ে যাই। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক। আমরা কন্টাক্ট ফার্মিং করে প্রত্যেকে লাভবান অবস্থায় আছি। আমাদের বিশ্বাস এই ভাবেই সারা জীবন আমাদের পাশে থাকবেন। বর্তমান বাজারে যত ফিড রয়েছে তাদের মধ্যে ৭১ ফিড সর্ব উৎকৃষ্ট। তারা এও বলেন যে কিছু অসাধু মানুষের কথা শুনে বা কাজ দেখে আপনাদের প্রতি আমাদের যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছিল তা আজ সমূলে নির্মূল হয়ে গেল। আমরা সবাই ৭১ ইন্টিগ্রেশন বাংলাদেশের সফলতা কামনা করি। ৭১ ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ সাধারণ মানুষের পাশে যেভাবে আছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। সর্বশেষে জিএম ডঃ মুহাম্মদ নুরুল আলম এবং এজিএম মোঃ জাহিদুল ইসলামসহ একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এই বলে খামারীদের আশ্বস্ত করেন যে ৭১ ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ সর্ব সময় সর্বস্থায় সুখে দুখে খামারিদের পাশে থাকবে।
সর্বোপরি ৭১ ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ পরিবার অনুরোধ জানান যে অসাধু লোকদের কথায় বা প্ররোচনায় কাহারো প্রতি কোন ভ্রান্ত ধারণায় পোষণ না করতে।