আবু সায়েম আকন,ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও এমপি আমির হোসেন আমু’র ছবি ভাংচুরের অভিযোগে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা দু’জনকে আটক করেছে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বদনিকাঠি বাজারে আওয়ামিলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো উত্তর সাউথপুর এলাকার মো. আইউবু আলী সরদারের ছেলে মো. বাদশা সরদার, বদনিকাঠি এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক মো. কামরুল হাওলাদারের ছেলে মো. স্বাধীন হাওলাদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঠবাড়ি ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বদনিকাঠি বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুটবল মার্কার প্রার্থী মো. মানিক সরদার ও মোড়ক মার্কার প্রার্থী মো. তাওহীদুল ইসলাম তাওহীদের বড় ভাই তরিকুল ইসলাম তারিকের সাথে নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের লোকজন জড় হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করতে চেষ্টা করে। এ সময় মানিক সরদার তার লোকজন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মধ্যে ডুকে ভিতর থেকে নিজেই সাটার বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে তারেককে ফাঁসাতে অফিসের মধ্যে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও এমপি আমির হোসেন আমু’র ছবি ভাংচুর করে। ভাংচুরের সময় অফিসের ভিতরে থাকা রাজাপুর উপজেলা যুবলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাধা দিলে ছবির গ্লাসে হাত কেটে যায়। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ইদ্রিস মৃধা প্রতিবাদ করলে ফুটবল মার্কার প্রার্থী মানিক সরদার বিষয়টি চেপে যেতে অনুরোধ করে। তারা ধারনা করছে মানিক সরদারের ইশারায়ই এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আটককৃতরা ছবি ভাংচুরের দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে মো. মানিক সরদার জানায়, আমাকে ফাঁসাতে এ ঘটনা সাজানো হয়েছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ছবি ভাংচুরের ঘটনায় রাতেই মঠবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০জন অজ্ঞাতসহ ২১ জনের নামে মামলা রুজু করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করতে আনা দুইজনের মধ্যে স্বাধীন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে আদালতে পাঠিয়ে অপরজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।