রাকিব হোসেন,ঢাকাঃ একাত্তরের মতোই বিজয়ের আনন্দে মেতেছিল আওয়ামী লীগের লাখো নেতাকর্মী, সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ। এই বিজয় শোভাযাত্রার শুরু থাকলেও যেন শেষ নেই। এককথায় বলতে গেলে বিজয় শোভাযাত্রায় রাজধানীতে লাখো মানুষের স্রোত নামিয়ে বড় ধরনের শোডাউন করেছে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়।
শোভাযাত্রা শুরুর আগে আওয়ামী লীগ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে বিজয় শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে গতকাল বিকেলে লাখো মানুষের স্রোত নামিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে বহু মিছিলের স্রোত এসে মিশেছিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে। পুরো রাজধানীই পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। ৫১ বছর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানে পাকিস্তানি হানাদাররা আত্মসমর্পণ করেছিল, ঠিক সেই স্থানটির সামনে থেকেই শোভাযাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ। বিজয় শোভাযাত্রা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এদিন বিকাল পৌনে চারটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিজয় র্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ, কাঁটাবন, বাটার মোড়, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর রোড হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে এসে শেষ হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই বিজয় র্যালিতে অংশ নেয়া সকল মানুষের কণ্ঠে ছিল একই দাবি- ‘বিজয়ের এই দিনে, মুজিব তোমায় মনে পড়ে’, ‘মুজিবের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মোড়ে দুটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে শুরু হয় বিজয় শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশ। সমাবেশ থেকে দেশবিরোধী সকল অপশক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিয়ে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবো।