মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল স্থান ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকা। বাস-ট্রাক বা জনসাধারণের কোলাহলের শব্দের সাথে সাথে পুরো এলাকাটিই মুখরিত হয়ে আছে হাজারো চড়ুই পাখির কলতানে। এরা আমাদের ঘরের আশপাশে থাকা পাতি চুড়ই নয়। এই জাতের চুড়ইদের বলা হয় গাছ চুড়ই।
কথা হচ্ছে, গেছো চড়ুই বা ইউরেশিয়ান ট্রি স্পেরোকে নিয়ে। এ পাখির মাথার দিকে না তাকালে আমরা আমাদের বাড়িতে বাসকরা পাতি চড়ুইয়ের সাথেই এক করে ফেলতে পারি এদের। চেহারা হুবহু পাতি চড়ুই অর্থাৎ আমাদের ঘরের আশপাশে যে চড়ুই বাস করে ওদের মতোই। তবে এদের গালে একটি কালো দাগ বা বিউটি স্পট এর জন্য এদের আলাদা করতে পারা যায়। এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা গাছে বসবাস করে। ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে গাছের ডালে এবং বৈদ্যুতিক তারে হাজার হাজার পাখি বসে থাকতে দেখা যায়।
পাখি বিশারদদের মতে, শিকারি ও বাজপাখির অক্রমণ থেকে বাঁচতেই এরা হাজার হাজার সংখ্যায় ঝাঁক বেঁধে চলে। এদের একেকটি ঝাঁকে ২০ হাজার পর্যন্ত সদস্য থাকে। ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গেলেই দেখা মিলবে এদের। জুয়েল ইসলাম নামের এক পথচারি জনান, সমন খারাপ থাকলেও কাজের ফাঁকে ফাঁকে সারাটা দিন গেছো চড়ুইয়ের কিচিরমিচির করে খেলা ও মারামারি দেখি, ভালই লাগে। সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফিরি তখন অবশ্য তারা আর বিদ্যুতের তারে থাকে না। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে আশ্রয় নেয়।
সাহিদা খাতুন নামের এক পথচারী জানান, চড়ুই পাখি আমি দেখেছি তবে এভাবে হাজারো পাখি দল বেঁধে বিদ্যুতের তারে বসে থাকতে দেখিনি। এ ধরনের পাখি হয়তো অন্য সাধারণ চড়ুই পাখিদের মতো না। তবে যেটাই হোক, তাদের দেখতে ভালোই লাগে।
ঠাকুরগাঁও জেলার পাখিপ্রেমিরা বলেন, এসব গেছো চড়ুই জনবসতির মধ্যে থাকতে অনেক বেশি ভালোবাসে। আমাদের এ অঞ্চলেই এদের বেশি দেখা যায়। যেহেতু এই পাখিগুলো জনবসতির মধ্যে থাকতে ভালোবাসে। কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে সে জন্য প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.