বিলালুর রহমান,জৈন্তাপুর,সিলেটঃ নদী বাংলাদেশের প্রাণ। জালের মতো ছড়ানো নদীগুলো এ ভূখন্ডের গঠন থেকে প্রতিরক্ষা-সর্বক্ষেত্রেই পালন করেছে অগ্রনী ভূমিকা।
নদীগুলো বাঙালির জীবন, সংস্কৃতি ও অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে আছে। নদীগুলোকে অপরিকল্পিত সর্বনাশা কর্মকান্ডের মাধ্যমে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নদীবিধ্বংসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। জৈন্তাপুর উপজেলার সারী নদী থেকে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে তিনি প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।
গত ২৫ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে সারীঘাট বাজারে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায়
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এসব কথা বলেন।
সিলেটের ’নীল নদ’ নামে খ্যাত সারি নদীতে অবৈধ বোমা মেশিনের ব্যবহার বন্ধের দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, সারি নদী বাঁচাও আন্দোলন ও সারি বারকি শ্রমিক সমিতি’র যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সারি বারকি শ্রমিক সমিতির সভাপতি আমির আলীর সভাপতিত্বে ও সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল-হাদীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জেল সোহেল, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ,সাবেক ইউপি সদস্য জমসেদ আলী,বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক সোহেল আহমদ,সারিঘাট দক্ষিণ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আহসান আল জুবায়ের,সারি বালু ব্যবসায়ী সমিতর সভাপতি মাওলানা আব্দুস সোবহান ও ব্যবসায়ী সোলেমান আহমদ।
প্রতিবাদ সভায় শরীফ জামিল আরও বলেন, অপরিকল্পিত প্রকল্পের নামে নদীবিধ্বংসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যে অনেক নদীকে হত্যা করা হয়েছে। অনেক নদীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নদী ও তার প্লাবনভূমির প্রাণ, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। বালুমহাল ও নদী ব্যবস্থাপনা আইনে নদীতে বোমা মেশিন ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই।
তিনি অবিলম্বে সারি নদীতে অবৈধ বোমা মেশিন বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।