শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে। সকাল দশটা ত্রিশ মিনিটে প্রশাসন ভবনে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। প্রশাসন ভবন থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, নাটকসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর বাঙালি যে আনন্দ লাভ করেছিল, অবিসংবাদিত নেতাকে ফিরে পাওয়ার পর সে আনন্দ পূর্ণতা লাভ করে। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হলেও আমাদের আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল। কারণ, বাঙালি জাতির শৃঙ্খলমুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশ নামক কাব্য যিনি রচনা করেছিলেন, 'পোয়েট অব পলিটিক্স' খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি তখনও কাছে পায়নি। পাকিস্তানের একটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের অব্যাহত চাপে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হলে তিনি লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছান। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবী ও গবেষক মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত বিজয় সূচিত হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। বাংলার মহানায়ককে যারা সপরিবারে হত্যা করেছে এবং সেইসব ঘাতককে যারা নানাভাবে সহযোগিতা করেছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করে ঘৃণা প্রকাশের জন্য তাদের নামের তালিকা রাস্তার মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়া উচিৎ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁকে সর্বোতভাব সহায়তা করা আমাদের কর্তব্য।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান-নাচসহ একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.