সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রামঃ চলতি মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শৈত্য প্রবাহ না থাকলেও উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। দুদিন ধরে বেলা গড়িয়ে গেলেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পথঘাট। ঘন কুয়াশার কারনে দূরপাল্লা ও স্বল্পপাল্লার যানবাহনসহ অটোরিকশা ও মিশুক চালকেরা হেলডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী ও দরিদ্র পরিবারের মানুষগুলোর।
আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কথা হয়, জেলা সদরের কুমরপুরের অটোরিকশা চালক আইনুল মিয়া (৫২)। তিনি বলেন, 'দুই দিন থাকি খুউব শীত পইরবের নাইগছে। আইজ আরও বেশী। গাওয়োত শিরশির করি বাতাস নাগে। আস্তাঘাট দেহা যায় না। অটোরিকশার হেডলাইট জ্বলে চলবের নাগছোং, একসেডেন্ট হওয়ার ভয়োত!'
সকাল ৭টার দিকে কাজে যোগ দিতে সাইকেল চালিয়ে শহরের দিকে আসছিলেন পাটেশ্বরী এলাকার অাজিজুল (৪০), দুলু মিয়া (৩২), জাহেদুল (৩৯) সহ নির্মান শ্রমিকের একটি দল।
তাঁদের সঙ্গে কথা হলে, দলে থাকা দুলু মিয়া (৩২) বলেন, 'কয়েক কিলোমিটার আস্তা সাইকেল চলেয়া প্রতিদিন হামরা কাজোত যাই। কিন্তু আইজ ঘন কুয়াশায় কিচ্ছু দেখা যাবার নাগছে না। তার মধ্যে এই ঠান্ডাত কামকাজ কইরলে হাত-পাও কাঁপে। কামকাজ না করিয়েও তো উপায় নাই।'
তবে ফেব্রুয়ারীর শুরুতে তাপমাত্রা কমে গিয়ে রয়েছে শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, 'আজ শনিবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেয়ে ফেব্রুয়ারির শুরুতে মৃদু শৈত্য প্রবাহের আংঙ্কা রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.