মোংলা প্রতিনিধি,বাগেরহাটঃ ভারতীয় কোম্পানি vip এর ১ নাম্বার প্লান্টের আগুনে পুড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কর্মহীন হয়েছে শত শত পরিবার। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ইপিজেডে মধ্যে ফায়ার স্টেশনের করার দাবি তোলা হয়েছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুরোপুরি নেভেনি মোংলা ইপিজেডের মধ্যে লাগা ভিআইপি কারখানার আগুন। কারখানার ভিতরে কালো ধোয়া বের হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ভিআইপি কারখানার হেড অব এইচ আর মোঃ মিজানুর রহমান খাঁন বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় এতথ্য নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। এদিকে ভারতীয় কোম্পনি ভিআইপি'র লাগেজ কারখানায় অগ্নিকান্ডে ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্মকর্তারা।
'ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিডেট’ এর হেড অব এইচ আর মোঃ মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মোংলা ইপিজেডে ৯টি কারখানার মধ্যে ১ নম্বর কারখানাটিতে সর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোংলা, বাগেরহাট ও রামপালের আটটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে গেলেও ততক্ষনে কারখানাটি পুড়ে যায়। এসময় কারখানাটিতে থাকা লাগেজ তৈরীর কাঁচামালসহ তৈরী লাগেজ ছিল। যা বেশ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রে রপ্তানির অপেক্ষায় ছিল। এছাড়া এ কারখানায় রাসায়নিক আঠা,পলিথিন জাতীয় দাহ পদার্থ ও হাই ভোল্টেজ মেশিনারিজ যন্ত্রপাতিও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে মোট ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে'। এই ক্ষতি উল্লেখ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোংলা থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভিআইপির কর্মকর্তা মিজানুর আরও বলেন, পৃথিবীর একমাত্র বড় এক লাখ ১১ হাজার বর্গ ফুটের এ লাগেজ কারখানায় অগ্নিকান্ডের সময় সেখানে কর্মরত তাদের ৭০০ শ্রমিক নিরাপদে দ্রুত বেরিয়ে এসেছে। এজন্য কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফায়ার সার্ভিসের মোংলা বন্দর ইউনিটের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আরবেশ আলী বলেন, ভিআইপি কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ভিতর থেকে এখনও ধোয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে এখনো পুরোপুরি নেভেনি। তারপরও মোংলা বন্দর, রামপাল খুলনা ও বাগেরহাটের ৮টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছি।
মোংলা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ সুত্র জানায়, ২০১৩ সালে ভারতীয় কোম্পানি ভিআইপি ইন্ডাষ্ট্রি বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিডেট এখানে বিনিয়োগ শুরু করে। শুরুতে তারা ছয়টি কারখানা দিয়ে পণ্য উৎপাদনে যায়। পরে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের এখন ৯টি কারখানা রয়েছে এখানে। এসব কারখানায় ব্যাগ এন্ড লাগেজ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের সব দেশে এখানকার উৎপাদিত লাগেজ রপ্তানি করা হয়।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ইপিজেডের ভিতরে ভিআইপির ১ নম্বর কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনও আগুন পুরোপুরি নেভেনি। কারখানাটিতে আগুন লেগে ভিআইপি'র অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (হিসাব) আবুল হাসান মুন্সিকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। এরপর ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোংলা ইপিজেডের একটি সুতার কারখানায় আগুন লাগে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.