উজ্জ্বল কুমার দাস,কচুয়া প্রতিনিধিঃ ড্রাগন চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন বাগেরহাটের কচুয়ার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবী নিজাম উদ্দিন শেখ।মুলত তার ছেলে সোহেল শেখ শখের বশে এ ড্রাগন চাষ শুরু করেন।পরবর্তীতে কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামে বানিজ্যিক ভাবে এ ফল চাষে ঝুঁকে পড়েন তিনি।১ হাজার চারাগাছ দিয়ে শুরু করলেও এক বছরের ব্যাবধানে এখন তার ৫০ শতাংশের প্লটে দুই হাজারের বেশি ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে।ড্রিপ সেচের মাধ্যমে পানি দেওয়া হচ্ছে গাছগুলোতে এছাড়াও কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গাছ গুলোর পরিচর্যা করা হচ্ছে।দু এক মাসের মধ্যেই গাছে ফুল আসবে।এ পর্যন্ত তার ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে যদিও গত বছর এখান থেকে ৫০ হাজার টাকার ফলন পেয়েছেন তিনি।এ বছর বড় ধরনের একটা লাভের আশা রয়েছে তার। দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ড্রাগনের বাণিজ্যিক চাষাবাদে সফল হবেন বলে এখন তিনি আশাবাদী।এলাকার অনেকেই এখন তার দেখাদেখি ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
নিজাম উদ্দিন শেখের ড্রাগনের চাষ দেখে কচুয়ায় নতুন নতুন উদ্যোক্তার সৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।এতে করে উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষে এগিয়ে আসবে অনেকেই।
নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, ড্রাগন ফল চাষ একটি লাভজনক কাজ।যদিও এতে খরচ কিছুটা বেশি হলেও পরবর্তীতে খরচ তেমন নেই। অনান্য আবাদে যেমন সব সময় গাছের যত্ন, সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়, সেদিক থেকে ড্রাগন চাষাবাদ খুবই ভালো। অল্প পরিচর্যা করতে পারলে ড্রাগন ফল চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।ড্রাগন চাষে উৎসাহিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,তরুণ উদ্যোক্তারা এ চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব তবে এজন্য বড় ধরনের একটা পুঁজির প্রয়োজন।এ জন্য সরকারি কৃষি অফিসের মাধ্যমে যদি সহজ শর্তে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা হয় তবে এ চাষে যুবসমাজ উদ্বুদ্ধ হবে।
এখানে দু যাতের ড্রাগনের গাছ রয়েছে তার।সর্বনিম্ন ৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা দরে তিনি এ চারা গুলো ক্রয় করেন।সাদা রংয়ের চারা ক্রয় করেন ৫০ টাকা দরে এবং হলুদ রঙের ড্রাগনের চারা ক্রয় করেন ৫০০ টাকা দরে।ড্রাগন চাষের জমি আরও বড় করার স্বপ্ন রয়েছে তার।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.