তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের হাত থেকে হাওড়াঞ্চলের ফসল রক্ষার লক্ষে তাহিরপুরে পিআইসির মাধ্যমে ফসল রক্ষা (ডুবন্ত) বাঁধের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইতিমধ্যে কিছু ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে, তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের আশাবাদ, পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যার পানি আসার আগেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ সব বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
প্রতি বছর আকস্মিক পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যায় হাওড়াঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। হাওড়াঞ্চলের ফসল রক্ষায় এবার উপজেলার মধ্যে ১১৩ টি ডুবন্ত বাঁধ মেরামতের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলায় ১১৩টি ডুবন্ত বাঁধের বিপরীতে ২০ কোটির অধিক টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ওই বাঁধগুলোর উপর হাওর অঞ্চলের কৃষকদের এক ফসলি বোর ফসল নির্ভরশীল ।
উপজেলার দক্ষীনকুল গ্রামের কৃষক কয়েছ মিয়া বলেন, হাওড়াঞ্চলের কৃষকদের সারা বছরের একমাত্র ফসল হচ্ছে বোরো ধান। প্রতি বছর আগাম বন্যার জন্য হাওড়ের ফসল নিয়ে আমরা চিন্তিত থাকি, ফসল তলিয়ে গেলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। এবার আগাম ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ দ্রুত গতিতে করার জন্য কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
বালিজুরি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কৃষক আঃরজ্জাক বলেন , এবার দেখতাছি তাহিরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিদিনই বাঁধে আইতাছইন এবং বাঁধের খবর নিতাছইন, তাইন বাঁধে আইতাছইন বিধায় বাঁধের কাম তারাতারি হইছে,এইবার আর হাওর নিয়া চিন্তা করন লাগতনা,কারন পানি আওয়ার অনেক আগেই আমরার বাধ প্রায় হইয়া গেছে।বড় সাব আওয়ার কারনে বাঁধ ভালা হইছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাবিটা প্রকল্পের সভাপতি সুপ্রভাত চাকমা জানান উপজেলায় ১১৩ টি বাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এসব বাঁধ প্রতিনিয়তই পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়ম দেখা গেলে পিআইসিকে দ্রুত সে সব সারিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব বাঁধের কাজ শেষ করা যাবে ।