স্বপন কুমার রায়,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ যে ভাষাতে মা-কে মা বলে ডাকতেপারি, এরবড়সুখ কিসে হয়।তাই সেই ভাষাকে রক্ষাকরতেএকজোটহয়েলড়াইচালিয়েছিলবাঙালি।ধর্মবর্ণনির্বিশেষেলক্ষছিল একটাইবাংলাভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার। সেই লক্ষপুরণ করতে ঝরেছে রক্ত, খালি হয়েছেবহু মায়ের কোল। কিন্তু দামাল সন্তানরা তাঁদের লড়াই ছাড়েনি সেদিনশেষরক্তবিন্দুদিয়ে যে জয় তাঁরা নিয়ে এমেছিল মেজয়েরনাম অমর ২১।সে জয়ের নাম ভাষা আন্দোলন।
১৯৫২সালের এইদিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর তৎকালীন পুলিশ নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে।এতে বেশ কয়েক জন ছাত্র শহীদ হন।তাদের মধ্য সালাম,বরকত,রফিক,শফিউর, জব্বার অন্যতম।সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে করা হয়। তাই দিনটি
বাঙালিজাতি ও বাংলাভাষাব্যবহারীদেরজন্য গৌরবজ্জ্বল।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে
ফেব্রুয়ারিকে ঘোষনা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে। ইউনেস্কোর প্যারিস
অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিক
কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঘোষনা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি
জাতিসংঘের সদস্যসমুহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।
আজ সরকারি ছুচিরদিন। ভাষাশহীদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে সর্বত্র ওড়ানো হচ্ছে শোকের কালো পতাকা। সংবাদপত্র টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে।দেশের সর্বত্র আজ প্রভাতফেরি করে শহীদমিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে শহীদের স্মৃতির প্রতি।সবসরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ;অর্ধনমিত থাকবে।