ভারত প্রতিনিধিঃ অধুনালুপ্ত কলকাতার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে সাংবাদিক সুশীল মিত্র দারুণ একটি প্রতিবেদন লেখেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষক, সহপাঠী ও কর্মচারীদের স্মৃতিচারণা ছিল। ৫০ বছর পর ওই লেখাটি জয়দীপ দে তাঁর ‘বঙ্গবন্ধুর কলকাতা জয়’ বইয়ে সংকলিত করেন।
প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ….
“এই কলকাতা, সেই আপনি। কতকাল পরে। তবু এই কলকাতা আপনার কত চেনা। আপনি বঙ্গবন্ধু, কলকাতা আপনাকে পরমাত্মীয়ের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। রাত্রির তপস্যা শেষে আপনি সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছেন, এই উপমহাদেশের প্রাণকেন্দ্র কলকাতা আপনাকে বীরের সম্মান জানাতে উদ্গ্রীব। স্বাধীনতাকামী মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষাকে ভাষা ও রূপ দিয়েছেন আপনি। সংগ্রামের পীঠস্থান কলকাতা আপনাকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে গর্বিত।”
সেই কলকাতার প্রবেশদ্বার শিয়াদাহ স্টেশনের সামনে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর পাশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করে কলকাতাবাসি আবারও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁদের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভার বিধায়ক পরেশ পালের নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে ভাস্কর্য দুটি নির্মাণ ও স্থাপন করা হয়েছে।
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাসহ ভারতবাসীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সভাপতি মীর এম এম শামীম। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের প্রতি ভারতবর্ষের বন্ধুত্বের অনন্য নিদর্শন ও ভালোবাসার প্রতীক। তিনি আরো বলেন এই ভাস্কর্যটি কলকাতার নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলবে।