জাকির হোসেন সুমন,ব্যাুরো চিফ ইউরোপঃ পবিত্র রমজান মাস , ইতালি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি । তবে ইফতার সামগ্রী ও সবজি বাজারে দাম না বাড়ায় সস্তি ফিরে পেয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ।
ইতালি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যেের উর্ধগতি সেই অবস্থায় আয় অনুযায়ী সংসার চালাতে অনেক বাংলাদেশী পরিবার কে হিমশিম খেতে হচ্ছে । এরিই মধ্যে শুরু হয়েছে মুসলমানদের সংযম ও রহমতের মাস রমজান। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী খাবারের দোকানে চলছে ইফতার সামগ্রী রমরমা ব্যবসা। ভেনিসের আল মদিনা বাংলা মিষ্টি ঘরের স্বত্বাধিকারী নূর আলী পাঠান জিল্লু , দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ রমজান মাস আসলেই ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন । দেশীয় স্বাদে র হরেক রকম বিক্রি করেন তার প্রতিষ্ঠানে।
এছারাও দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ দেশ ফাস্ট ফুড এ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন কবির মাহমুদ । বাজারে দ্রব্য মূল্যের দাম বেশী হলেও সীমিত লাভে দাম না বাড়িয়ে সল্প মূল্যে বিক্রি করছেন ইফতার সামগ্রী , শুধু তাই নয়, অসহায় ও নতুন আগত ইতালিতে বিপদগ্রস্ত দের বিনামূল্যে খাবার দিয়ে আসছেন বেশ কয়েক বছর ধরে।
এদিকে ইফতার আয়োজনে মুখরোচক খাবার দিয়ে ঢাকা বিরিয়ানি হাউজে আয়োজন করা হচ্ছে ইফতার পার্টি । ৩ শত লোকের ধারন ক্ষমতা হল হওয়ায় বিভিন্ন সংগঠন ইফতার আয়োজন করেন সেখানে।
চারিদিকে যখন দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি সে সময়ে তরি তরকারি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজারে সবজির দাম কম থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে কিছুটা সস্তি ফিরে এসেছে। রমজান মাস শুরুর আগের মাসে যে দেমে সবজী বিক্রি হতো তার থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে তরি তরকারি । এর মূল কারন হচ্ছে বহু বাংলাদেশী ইতালিতে জমি ভাড়া নিয়ে দেশীয় সজীব চাষ করে তা পাইকারী ও খুচরা বাজারে বিক্রি করায় , বাংলাদেশ হতে সবজী আমদানী না করায় দোকান গুলোতে কম লাভে সবজি বিক্রি করতে পারছে।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা মনে করেন তুলনামূলক ভাবে বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে , সেই তুলনায় ইতালিতে ইফতার সামগ্রীর দাম না বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখায় ক্রেতারা লাভোবান হচ্ছেন।