এস এম সোহেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ বায়ু-শব্দ দূষণ ও প্রতিকার শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা গাইবান্ধার নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ আয়োজনে অবলম্বন মিলনায়তনে আজ ২ এপ্রিল (রোববার) অনুষ্ঠিত হয়।
জনউদ্যোগের আহবায়ক অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন গাইবান্ধা পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, বিশিষ্ট সাহিত্যিক দেবাশীষ দাশ দেবু, মোস্তফা নূরুল ইসলাম রেজা, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, শিক্ষক রঞ্জিত সরকার, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, মিতা হক, গোলাম রব্বানী মুসা, মুনির হোসেন সুইট প্রমুখ। মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন উত্তম দেবগুপ্ত।
বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক বায়ু দূষণের ঝুঁকি বিষয়ক “দি স্টেট অব গেøাবাল এয়ার’ শীর্ষক রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বস্তুকণাজনিত দুষণের জন্য ৫৮ ভাগ দায়ী ইট ভাটা, ১৮ ভাগ রাস্তা ও মাটি থেকে ধুলা, ১০ ভাগ যানবাহন ও ১৪ ভাগ দায়ী অনান্য উৎস। দেশে বায়ূ দূষণের কারণে বছরে ১০ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। মানুষের শ্বাস-প্রশ^াসজনিত রোগের জন্য একটি বড় কারণ বায়ু দূষণ। এই সমস্যা সমাধানে বৃক্ষ রোপন, বড় পুকুর সংরক্ষণ, রাস্তায় পানি দিয়ে ধুলা নিয়ন্ত্রণ, ময়লা পুড়িয়ে ফেলা, পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপন ইত্যাদি করা যেতে পারে।
মানুষের শ্রবণ ইন্দ্রিয় দ্বারা নির্দিষ্ট মাত্রার শব্দই গ্রহন করতে পারে। অতিরিক্ত জোরালো শব্দ মানুষের শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। আমাদের পরিবেশের উচ্চমাত্রার শব্দের প্রভাবে যেমন- গাড়ির হর্ণ, মাইকের আওয়াজ, বাজির শব্দ, কলকারখানার শব্দ ইত্যাদি মানুষের স্থায়ী বোধিরতা অথবা অন্য কোনো শারীরিক অসুস্থতা দেখা যায়। শব্দ দূষণ বন্ধে এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- রবিউল ইসলাম। প্রধান কার্যালয়ঃ ২২ পশ্চিম-ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯। মোবাইল: ০১৭১৫-২০৯৬২৪। ফোন: +৮৮০২৯৫৫১৬৯৬৩ । ই-মেইল: alochitokantho@gmail.com । স্বত্ব © ২০২১ আলোচিত কন্ঠ
Copyright © 2024 আলোচিত কণ্ঠ. All rights reserved.