এম এ হানিফ রানা,স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যতম জনবান্ধন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়। একথা গাজীপুর মহানগরে বসবাসকারী ও চলাচলকারী লক্ষ লক্ষ মানুষ অকপটে স্বীকার করবেন। অল্প সময়ে উনার কিছু ব্যাতিক্রমি উদ্যোগের সুফল মানুষ এখন ভোগ করছে। বিশেষ করে উনি দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই গাজীপুরের প্রধান সমস্যা কিশোরগ্যাং,মাদক,ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজি, গাজীপুরের সেই চিরচেনা যানজট, ইভটিজিং, গাজীপুর চৌরাস্তায় অনৈতিক কার্যকলাপ, জয়দেবপুরের বিষফোঁড়া জয়দেবপুর রেলক্রসিং, সহ এমন অসংখ্য সমস্যা গুলো নোটবুকে রেখে তা একে একে সমাধান করে যাচ্ছেন। অনিয়ন্ত্রিত ইজিবাইক, লেগুনা, যএোতএো পার্কিং ও প্রধান সড়কগুলোতে যানযটের মুল কারন ছিলো সেটা এখন নেই। তার ভালো কাজগুলো স্বীকার করতে কার্পণ্য করা মোটেও উচিত নয়।আর যারা কার্পণ্য করেন তাদের উদ্দেশ্যে ওনার কাজগুলো একটু তুলে ধরি,,,,
→ গাজীপুরের জ্যাম! কার না বিরক্তির কারণ ছিল এটি? এর অন্যতম কারণ ছিল মহাসড়কে ইজিবাইক, অটোরিক্সা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি আর চলমান বিআরটি প্রোজেক্টের কাজের দরুন সৃষ্ট সাময়িক সমস্যা। জনাব মোল্যা নজরুল ইসলাম জিএমপির পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই গাজীপুরের সড়কে যানজটের যে ভয়াবহতা সেটি দূর করতে যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে প্রথমেই মহাসড়কে ইজিবাইক, অটোরিকশা আর ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করেন। যার ফলাফল গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে উত্তরা যাতায়াতে সময় লাগে ২৫-৩০ মিনিট। এর ফলে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীরা পেয়েছেন তাদের সময়ের মূল্য ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ চলাচল।
আমাদের সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে কমিশনার মহোদয় রোষানলে পড়েছেন কতিপয় ইজিবাইক, অটোরিকশা আর ফিটনেসবিহীন গাড়ির সিন্ডিকেট হোতাদের। যারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছে কমিশনার মহোদয়কে কিভাবে বিব্রতকর পরিস্থিততে ফেলা যায়।
→ মাদক ও কিশোর গ্যাং গাজীপুরের অতি পরিচিত বিষয়। মোল্যা নজরুল ইসলাম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা যারা ট্রাফিক এলার্ট গাজীপুর গ্রুপের সদস্য আছি, যাদের সরাসরি পুলিশ প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ হয়েছে তারা দেখেছি থানা পর্যায়ের এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের ব্যাপারে কতটা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন। সেই কারনে এখন আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন থানার আসামি আপডেটে এই কিশোরগ্যাংদের দেখতে পাচ্ছি। ফলে এখন কোথাও কিশোরগ্যাংদের আড্ডা বা কার্যকলাপ চোখে পরে না তেমন ভাবে। সাথে ইভটিজিংও কমে গেছে।
গাজীপুরে বিআরটি প্রোজেক্টের কর্তাদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে, তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গাজীপুর মহানগরের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত খেটে যাওয়া মানুষটিকে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মানুষের কারণে বিব্রত হতে হচ্ছে। অতীতের গাজীপুর মহানগর আর মোল্যা নজরুল ইসলামের দায়িত্বে থাকা গাজীপুর মহানগরে অনেক ফারাক।
বিশ্ব ইজতেমা আর ঈদে ঘরমুখো মানুষের কারণে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা গাজীপুরের রাস্তাতেই কাটাতে হতো মানুষকে সেখানে মোল্যা নজরুল ইসলামের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ বছর মানুষ বিগত এক যুগের সবথেকে স্বস্তির ঈদযাত্রা করতে পেরেছে। শিল্প কারখানায় কোন চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি। তিনি শিল্পনগরী গাজীপুরে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন।
মোল্যা নজরুল ইসলাম ভাই আমাদের গাজীপুর মহানগরের বাসিন্দা নন, গাজীপুরের মানুষের জন্য তিনি এতোটা না করলেও পারতেন। কিন্তু মানুষের সেবাই যার একমাত্র উদ্দেশ্য সেই মানুষটিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিলে কতিপয় সুবিধাবাদী লোকের হয়তো খুব সুবিধা হবে, কিন্তু ভোগান্তি বাড়বে লক্ষ লক্ষ মহানগরবাসীর। মোল্যা নজরুল ইসলাম কেবল একজন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নন, উনি গাজীপুর মহানগরবাসীর জন্য আশীর্বাদ।
নিরাপদ, যানজটমুক্ত, মাদক ও কিশোরগ্যাং মুক্ত গাজীপুর মহানগরের জন্য মোল্যা নজরুল ইসলামের বিকল্প গাজীপুরে এখন আপাতত নেই বললেই চলে ।তাই ওনাকে যদি আরো পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয় তবে গাজীপুর অপরাধ নুক্ত সহ সকল দিক দিয়েই উন্নতি করবে বলে আশা রাখি। গাজীপুর মহানগরের সাধারণ নাগরিক মোল্যা নজরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের কাছেই অনেকটা নিরাপদ মনে করেন।